কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় ধনদেবীর অবতারে ধরা দিয়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। পরনে লাল বেনারসি। হাতে ধানের ছড়া। গলায় পদ্মের মালা। খোঁপায় পদ্ম। নাকে নথ, আভরণে ভূষিতা। হাতে আলতা। অভিনেত্রীর সেই শ্রী-রূপ দেখে শোরগোল নেটপাড়ায়। মন্তব্য ছুঁড়লেন পরিচালক অনীক দত্তও।
Advertisment
লক্ষ্মী-রূপে শ্রীলেখা মিত্রর ছবি দেখে অনুরাগীরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর আগে দুর্গা-রূপে ফটোশুটের বন্যা বয়ে গেলেও লক্ষ্মীপুজোয় সাধারণত তারকাদের এমন শুট করতে দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে খানিক অন্য পথেই হাঁটলেন শ্রীলেখা। ধনদেবীর অবতারে নিজেকে প্রকাশ্যে আনলেন। আর সেই ছবি দেখেই নেটপাড়ার একাংশ ট্রোল করা শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, শ্রীলেখা বরাবরই বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী। যে কোনও ইস্যুতেই তৃণমূল, বিজেপিকে তুলোধনা করতে ছাড়েন না। এবার কমিউনিস্টরা যেহেতু ধর্ম-কর্ম কিংবা ইশ্বরবাদে বিশ্বাসী নন, সেখানে শ্রীলেখা কেন লক্ষ্মীর অবতারে শুট করালেন? সেই প্রশ্নই তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। কেউ কেউ তো আবার শ্রীলেখা মিত্রকে 'কমিউনিস্ট লক্ষ্মী…' বলেও তকমা সেঁটেছেন।
লক্ষ্মীরূপে ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, "সবাইকে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর শুভ কামনা জানাই।" অনীক দত্ত অবশ্য বামপন্থী হলেও সেই পোস্টে শ্রীলেখাকে কোনও প্রকার বাঁকা কথা শোনাননি! পরিচালকের মন্তব্য, "ওসব কামনা বাসনায় কিচ্ছু হবে না। ক্যাশ ছাড়ুন লক্ষ্মীদেবী।"
অনীকের মন্তব্য নজর এড়ায়নি শ্রীলেখার। পাল্টা তিনি বলেন, "ক্যাশ তুমি আমাকে দাও।" এখানেও তৃণমূলকে বিঁধে পরিচালক বললেন, "যা বাবা তোমার লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে এত্ত লোককে দিচ্ছ। আমি কি দোষ করলাম?" অনীকের এমন মন্তব্যের পাল্টা শ্রীলেখা বলেন, "আমার লক্ষ্মীর ভান্ডার নেই গো। সব আছে কালীঘাটে।"