/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/10/hgmtz4fYudZsIVeOCOGc.jpg)
প্রয়াত কিংবদন্তি...
তামিল চলচ্চিত্র জগতের পরিচিত মুখ, কমেডি অভিনেতা মাধন বব আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ের আদিয়ারে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই প্রিয় শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
জন্মনাম এস কৃষ্ণমূর্তি হলেও, দর্শকরা তাঁকে মাধন বব নামেই চিনতেন ও ভালোবাসতেন। তাঁর অনন্য হাসি, প্রাণবন্ত অভিব্যক্তি এবং নিখুঁত কমিক টাইমিং-এর জন্য, তিনি দর্শকমনে স্থায়ী ছাপ রেখে গেছেন। তিনি রজনীকান্ত, কমল হাসান, অজিত, সূর্য এবং বিজয়ের মতো, তামিল চলচ্চিত্রের শীর্ষস্থানীয় তারকাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন।
Kishore Kumar: 'উনি আর বাঁচবেন না..', মৃত্যুর ৭ বছর আগেই নির্মম সত্যে…
শুধু রুপালি পর্দায় নয়, টেলিভিশনেও ছিল তাঁর জোরালো উপস্থিতি। জনপ্রিয় কমেডি শো ‘আসাথা পোভাথু ইয়ারু?’-তে তিনি বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তাঁর রসবোধ ও উপস্থিত বুদ্ধি দর্শকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছিল।
তাঁর স্মরণীয় কিছু চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:
থেনালি (২০০০) – ‘ডায়মন্ড বাবু’ চরিত্রে
বন্ধুরা (২০০০) – ‘ম্যানেজার সুন্দরেসান’ হিসেবে
থেভার মাগান (১৯৯২) – যেখানে কিংবদন্তি শিবাজি গণেশন নিজে তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন..
সাথী লীলাবতী (১৯৯৫), চন্দ্রমুখী (২০০৫), এথির নিচল (২০১৩) ইত্যাদি। তিনি কেবল তামিল সিনেমাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না। হিন্দি, তেলুগু এবং মালয়ালম ভাষার নানা ছবিতেও তাঁর উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। চাচি ৪২০ (১৯৯৭), বঙ্গারাম (২০০৬), ভ্রমরাম (২০০৯) ও সেলুলয়েড (২০১৩)-এর মতো ছবিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সংগীতে ছিল তাঁর আরেক পরিচয়
একাধারে তিনি ছিলেন একজন প্রশিক্ষিত সংগীতশিল্পী। তিনি এস রামানাথন, ‘ভিক্কু’ বিনায়করাম এবং হরিহর শর্মার মতো প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞদের কাছে, পাশ্চাত্য ধ্রুপদী ও কর্ণাটকী সংগীতে তালিম নিয়েছিলেন। এমনকি এ আর রহমান, তাঁকে নিজের সংগীত গুরু হিসেবে বিবেচনা করতেন। মাধন ববের প্রয়াণে দক্ষিণ ভারতীয় বিনোদন জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি হয়েছে।