লকডাউন চলছে, ২০ এপ্রিল থেকে দেশের বেশ কিছু জায়গায় কিঞ্চিৎ শিথিলও হবে লকডাউন। কিন্তু রেড জোনগুলিতে আগামী ৩ মে পর্যন্ত নজরদারি বাড়বে। কারণ ওই অঞ্চলগুলিতে মানুষ এখনও লকডাউনের গুরুত্ব ঠিক অনুধাবন করে উঠতে পারছেন না। ভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে লকডাউন কতটা জরুরি, অজান্তে কীভাবে ভাইরাসের সংক্রমণ হয় বিদ্যুৎগতিতে, ছোঁয়াচে ভাইরাসের মোকাবিলা যে কতটা কঠিন-- এই সবকিছুই আরও ভাল করে বুঝবেন দর্শক দক্ষিণের 'ভাইরাস' ছবিটি দেখে। এই ছবিটি কাল্পনিক নয়, সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি।
Advertisment
২০১৮ সালে কেরালায় নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের কথা সম্ভবত এখনও অনেকের মনে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় সবচেয়ে মারণ ভাইরাসগুলির মধ্যে অন্যতম হল নিপা। এই ভাইরাস করোনার থেকে অনেক গুণ ভয়ঙ্কর। কোভিড-১৯ ভাইরাস শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে ঠিকই কিন্তু এই ভাইরাসের মৃত্যুহার ২০ শতাংশ। নিপা যে কোনও বয়সের, যে কোনও মানুষের শরীরে ঢুকলে মৃত্যু ৮০ শতাংশ নিশ্চিত।
দুবছর আগে কেরালার কোঝিকোড় জেলায় হঠাৎ এই ভাইরাস থাবা বসায়। যাতে এই ভাইরাস রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য রাজ্যে খুব তাড়াতাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। রোগীর সংস্পর্শে আসা লোকজনদের তিন-চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে, আলাদা আলাদা ব্যবস্থায় কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়। কীভাবে এই রোগটি ছড়ায়, কোথা থেকেই বা ছড়ায় আর রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর মেডিকেল টিম নিয়ে কীভাবে এই ভাইরাসের মোকাবিলা করেন, সেই নিয়েই তৈরি ছবি ভাইরাস। দেখে নিতে পারেন ছবির ট্রেলার নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে--
এই ছবিটি দেখতে বসে দর্শক সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সঙ্গে বেশ কিছুটা মিল পাবেন। পিপিই কিটের অপ্রতুলতা, ডাক্তারদের মধ্যে সংক্রমণ, আইসোলেশন, সংক্রামিত মৃত রোগীদের সৎকার নিয়ে সমস্যা-- এই সব চেনা বিষয়গুলি রয়েছে চিত্রনাট্যে। কিন্তু শুধু সেই কারণেই যে ছবিটি গুরুত্বপূর্ণ তা নয়। এই ছবিটি এদেশের অন্যতম সেরা মেডিকাল থ্রিলার ছবির চিত্রনাট্য এবং মেকিংয়ের জন্য।
আশিক আবু পরিচালিত এই মালয়লাম ছবিটি সাবটাইটেল-সহযোগে রয়েছে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন রেবতী, পার্বতী, টোভিনো থোমাস প্রমুখ। ২০১৯ সালের ৭ জুন ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। বক্স অফিসে স্বাভাবিকভাবেই তুমুল সফল এই ছবি। পাশাপাশি সমালোচকরাও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন