এ বছরের পয়লা বৈশাখ সকলের কাছেই অন্যরকম। করোনার উপদ্রবে বাড়ির বাইরে পা রাখা বারণ। লকডাউন যে। অসহায় পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য লড়ছে মানুষ। আর শিশুরা! তারা তো এসবের মানেই বুঝে উঠতে পারছে না। তাই তাদের একটু আনন্দ দিতে, তাদের মুখে হাসি ফোটাতে উদ্যোগী হলেন মিমি।
সোনারপুরে লাঙ্গলবেড়িয়া গোবিন্দপুরে কাছে আনন্দ ঘর ফাউন্ডেশন। সেখানকার কিছু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও এইচ.আই.ভি শিশুদের মুখে আজকের দিনে হাসি ফোটানোর জন্য এগিয়ে আসেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। নববর্ষের দিনে এই ১২০ জন ছোট্ট শিশুর জন্য জামা, কাপড় ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী।
ভিডিও কলে শিশুদের সঙ্গে কথা বললেন মিমি।
আরও পড়ুন, লকডাউনের অস্থির সময়ে যৌনকর্মীদের পাশে পরমব্রত
শুধু তাই নয়, ভিডিও কলে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন মিমি। পরবর্তীতে বাচ্চাগুলোর সঙ্গে দেখকা করার এবং ওদের জন্য আরও কিছু করা যায় কিনা সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করবেন বলেও জানিয়েছেন যাদবপুরের সাংসদ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তাও মিমি দিয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়। ইনস্টাগ্রামে ভিডিও করে জরুরী পরিষেবার মানুষ, যাঁরা অনবরত লড়াই করে যাচ্ছে তাদেরও কুর্নিশ জানালেন মিমি।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে এ রাজ্যে করোনা পজেটিভ ১৫২ জন। এর মধ্যে ২৩ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে হাওড়া সহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গাকে সংক্রমণের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য প্রশাসন। সেইসব এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে কিনা দেখতে ব্যাপকহারে নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন