কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের জগদ্দল পাথর নাড়িয়ে দিতে আসছে ‘লক্ষ্মী ছেলে’রা। ‘ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ’ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly)। প্রথমবার ছেলে উজান গঙ্গোপাধ্যায়কে পরিচালনা করলেন। ক্যামেরার সামনে সন্তানকে পরিচালনা করার কাজ কতটা কঠিন? বাবা হিসেবে সেই অভিজ্ঞতাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার শেয়ার করলেন পরিচালক।
'নেপোটিজম' শব্দের সঙ্গে আজকাল আর অপরিচিত নন কেউই। বলিউড তো বটেই এই স্বজনপোষণ বিতর্ক টলিউডের দোরগোড়াতেও হাজির হয়েছে একাধিকবার। আর ‘লক্ষ্মী ছেলে’ উজানকে যখন পরিচালনা করছেন বাবা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, তখনও এমন প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। ছেলে উজান গঙ্গোপাধ্যায়কে কাস্ট করার জন্য যদি নেপোটিজম বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে কি উত্তর দেবেন কৌশিক?
পরিচালকের ক্ষুরধার উত্তর, "উজান ২১ বছর বয়সে আমার কাছ থেকে অ্যাকশন শোনার সুযোগ পেয়েছে। বাড়িতে পরিচালক মা-বাবা, দু'জন অভিনেতা-অভিনেত্রী থাকা সত্ত্বেও উজানকে বহু বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে ক্যামেরার সামনে আসার জন্য। ব্যক্তিগতভাবে ওর নিজের যখন ইচ্ছে হয়েছে, তখনই অভিনয় জগতে এসেছে উজান। স্বজনকেই যদি না পোষণ করা হয়, তো কাকে করব? আসল স্বজনপোষণটা হয়েছে ছবিটা হওয়ার সময়। কারণ আমি চাই, উজান মন দিয়ে কাজটা করুক।"
পাশাপাশি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এও যোগ করলেন যে, "আবির চট্টোপাধ্যায়, পরম চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী কিংবা অনির্বাণ ভট্টাচার্য অনেকের সঙ্গেই কাজ করেছি। কিন্তু কোনওদিন কারও দিকে পাল্লা ভারী করে বলিনি যে এর ভাল হোক কিংবা, ও এই ব্যক্তির থেকে আরও ভাল করুক। কারণ আমি জানি ওঁরা সকলেই ভাল অভিনেতা। ছবিটা দারুণ হবে। জীবনে প্রথমবার চাইছি অভিনেতা হিসেবে উজানের মঙ্গল হোক।"
<আরও পড়ুন: মুখ ফেরালেন মা-ও! জেলে কেঁদে ভাসাচ্ছেন অর্পিতা, দিনরাত পার্থকে শাপ-শাপান্ত নায়িকার>
প্রথমবার তিন গঙ্গোপাধ্যায়- কৌশিক, চূর্ণী ও উজান এক সিনেমার সঙ্গে জড়িত। প্রযোজনায় শিবুপ্রসাদ-নন্দিতার উইন্ডোজ। যে প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে নিজের ফিল্মি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন উজান গঙ্গোপাধ্যায়। ‘লক্ষ্মী ছেলে’ দ্বিতীয় কাজ তাঁদের সঙ্গে। তাও আবার পরিচালকের আসনে বাবা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। সেটে কি খুব কড়া? অভিনেতা উজান বললেন, "কড়া ঠিক নন। বাবা আর আমি বন্ধু এখন। রোজ নতুন কিছু শিখি বাবার থেকে। সেটা জীবনদর্শন হোক কিংবা ইনস্টা রিলের মতো ক্ষুদ্র বিষয়। শুটের আগে একটু ভয়ে ছিলাম, তবে সেটে গিয়ে বুঝতে অসুবিধে হয়নি বাবা কি চাইছেন। ইশারায় কথোপকথনটাই আমাদের বাবা-ছেলের বোঝাপড়ার ব্যকরণ ছিল।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন