প্রথমবার টেলিভিশনের পর্দায় কোনও শোয়ে সস্ত্রীক হাজির হয়েছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। বিধায়ক হয়েও বর্ণময় মানুষ তিনি। রাজনীতির ময়দান থেকে বিনোদুনিয়া, সবক্ষেত্রেই মদন মিত্র অবাধ বিচরণ। তবে ব্যক্তিগত জীবন কিংবা স্ত্রীকে নিয়ে কোনওদিনই খুব একটা অকপট নন তিনি। স্পটলাইটের আড়ালে থাকা সেই গৃহকর্ত্রীকেই এবার 'দিদি নম্বর ওয়ান'-এর মঞ্চে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন মদন মিত্র। শুধু তাই নয়, শেয়ার করলেন দাম্পত্যের নানা অজানা কাহিনীও।
অর্চনা মিত্র, মদন মিত্র ঘরণি। দাপটের সঙ্গে বিগত কয়েক দশক ধরে মদনের সংসারের রাশ টেনে রেখেছেন। আলাপ বিয়ের আগে থেকেই। সম্বন্ধ করে নয়, বরং ভালবেসেই একে-অপরের সঙ্গে সাত পাকে বাধা পড়েছিলেন মদন-অর্চনা। যিনি কিনা একদা মদন মিত্রের ছাত্রী ছিলেন, সেই শিক্ষকের গলাতেই বরমালা তুলে দেন অর্চনাদেবী। 'দিদি নম্বর ওয়ান'-এর মঞ্চেই সেই গোপন কথা ফাঁস করলেন বিধায়ক খোদ।
<আরও পড়ুন: আফ্রিকার জঙ্গলে রহস্য উন্মোচনে ‘কাকাবাবু’ প্রসেনজিৎ, দেখুন রোমাঞ্চে ভরপুর ট্রেলার>
৩০ বছর আগে বিয়ে। তার আগে অর্চনাকে ইংরেজি পড়াতেন মদন মিত্র। সেখান থেকেই প্রেম। অতঃপর ছাত্রীকে পাত্রী বানাতে আর দেরি করেননি তৃণমূল বিধায়ক। শোয়ে এসে অর্চনা জানান, স্বামী নাকি অল্পতেই রাগ করেন। তবে সেই রাগ পড়ে গেলে বউকে কাছে টেনে গান শোনাতেও দেরি করেন না। বিয়ের পর দার্জিলিংয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন। তারপর অবশ্য অনেক জায়গাতেই গিন্নিকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন মদন মিত্র। আপাতত মদন-অর্চনার দাম্পত্য কেমিস্ট্রি 'টক অফ দ্য টাউন'।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন অর্চনাদেবীকে প্রশ্ন ছোঁড়েন, স্বামীর এত মহিলা ভক্ত নিয়ে, তখন তাঁর মুখে সপাট জবাব, "ঘুড়ি যতই উড়ুক, লাটাই তো আমার হাতে।" স্ত্রীর মুখে একথা শুনে হেসে গড়িয়ে গেলেও উত্তর দিতে ভোলেননি মদন। তৎক্ষণাৎ বলে ওঠেন- "ওহ লাভলি!"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন