অফিসপাড়ার মহিলা চালিত পাইস হোটেল এখন বেজায় জনপ্রিয়। খাদ্যরসিকদের মুখে মুখে ফিরছেন নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের রান্নার প্রশংসা। ডালহৌসির কয়ালাঘাটা এলাকায় পাইস হোটেল চালিয়েই ভাইরাল দিদি। তিনি অবশ্য সকলের কাছে এখন 'স্মার্ট দিদি'। তাঁর রান্নার জাদুতে মুগ্ধ অনেকেই। এবার সেই ভাইরাল রাঁধুনির কাছেই পৌঁছে গেলেন মদন মিত্র।
কামারহাটির বিধায়ক আবার বেজায় খাদ্যরসিকও। তাই নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা কানে আসতেই নিজেই সটান ঢুঁ মারলেন অফিসপাড়ায়। স্মার্ট দিদির হাতের রান্না খেয়ে দিলেন বিরাট সার্টিফিকেটও। শুধু তাই নয়, রান্না চেখে এতটাই পছন্দ হয়েছে যে বড়সড় অর্ডারও দিয়ে ফেললেন।
'স্মার্ট দিদি'র ফুটপাতের রান্নাঘরে মাছ-মাংস নয়, বরং পালং শাকের সবজি খেলেন 'মদনদা'। বললেন, "অসাধারণ! মনে হচ্ছে বাড়ির খাবার খাচ্ছি।" হঠাৎ কেন নন্দিনীর কাছে গেলেন বিধায়ক? এপ্রসঙ্গে মদনের উত্তর, "বিধানসভা থেকে ফিরছিলাম। আগামীকাল আমার এলাকার একটা স্পোটর্স ডে আছে। ওখানকর বাচ্চাদের মধ্যাহ্নভোজের অনুরোধ এল। ভাবছিলাম কোথায় যাব, তখনই আমার এক সহযোগী নন্দিনীর এই পাইস হোটেলের কথা জানায়। ওর মুখে সুখ্যাত শুনেই আসি। দেখি এ তো পুরো এলাহি কাণ্ড!"
<আরও পড়ুন: বিতর্ক-রাজনীতি পেরিয়ে কলকাতাতেই হচ্ছে অরিজিতের কনসার্ট! কবে, কোথায়? জেনে নিন>
৩০০ প্লেট মাস-ভাতের অর্ডার দিয়ে গেলেন মদন মিত্র। এদিকে মদন মিত্রের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে বেজায় আপ্লুত নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়।
সম্প্রতি, দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে গিয়েও বেজায় ট্রোলড হতে হয় স্মার্ট দিদিকে। তবে, অফিসপাড়ার রাঁধুনি দিদি মমতা ওরফে নন্দিনীকে নিয়ে সমালোচনা, বিতর্কেরও অন্ত নেই। ফুড ব্লগারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে তাঁর ওপর। শুধু তাই নয়, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার না পাওয়ার অভিযোগও আসে।