রাজনীতির ময়দানে রং-চঙে মানুষ তিনি। তারকাদের সঙ্গেও বেজায় সদ্ভাব। জেন ওয়াইদের কাছে ফ্যাশনগুরু মদন মিত্র (Madan Mitra)। তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে চর্চা সবমহলেই। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়! এই তো দিন দুয়েক আগের কথা। দক্ষিণশ্বরের এক কালীপুজোর মন্ডপ মাতালেন বলিউড স্টার রাখী সাওয়ান্তের সঙ্গে। রাখীর উপস্থিতি পুরুষদের বুকের ধুকপুকানি বাড়ালেও 'মদনদা'ও কম যান না। আর সেই রঙিন মনের মানুষটিই এবার মেকআপ আর্টিস্ট ও টেকনিশিয়ানদের সম্মান জানাতে ব়্যাম্পে হাঁটলেন।
প্রসঙ্গত, বিগত দু'বছরের আর্থিক মন্দার কথা ভেবে নেতাজি ইন্ডোরে মেকআপ আর্টিস্ট ও টেকনিশিয়ানদের সম্বর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বিনোদন ও ফ্যাশন জগতের নামী-দামি বহু তারকাকে তো আমরা অহরহ দেখি হয় টিভির পর্দায়, নাহলে মঞ্চে কিংবা সংবাদ মাধ্যমের বড় মুখ হিসেবে। কিন্তু এঁদের তারকা হিসেবে গড়ে তুলতে যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তাঁদের মধ্যে এক অন্যতম ভূমিকা পালন করেন রূপসজ্জা শিল্পীরা। কিন্তু ক্যামেরার নেপথ্যের এই মানুষগুলির অবদান মনে রাখে ক'জন? চেনেই বা ক'জন? খুবই স্বল্প সংখ্যক মানুষ। দীর্ঘ সংগ্রামের পর তাঁরাও নিজেদের কাজের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন ঠিকই, কিন্তু সেই নামের তালিকা নাতিদীর্ঘ।
<আরও পড়ুন: নাকে-মুখে নল, চুল নেই মাথায়, হাসপাতালে শয্যাশায়ী! কষ্টের দিনের কথা মনে করলেন মণীষা>
তবে এবার যাতে তাদেরও মানুষ দেখতে পায় সেই উদ্যোগ নিলেন মুনমুন দাস ও তার কন্যা মোনা দাস। মোনা নিজেও একজন রূপসজ্জা শিল্পী হিসেবে মনে করেছেন তাঁদের এই কাজকে আর কেউ সম্মান না জানালেও তিনি এমন কিছু করবেন, যাতে তাঁর মতো বা তাঁর চেয়ে অভিজ্ঞ শিল্পীরা নিজেদের যথাযথ মর্যাদা পান। তাই তাঁরই উদ্যোগে ও শুভব্রত বিশ্বাসের বিশেষ সহায়তায় গত ৭ই নভেম্বর, বারদেভিস্তা ক্লাবে আয়োজিত হল গ্লোরিয়াস মেকআপ আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড ইভেন্ট।
পশ্চিমবঙ্গের নানান প্রান্ত থেকে আসা নতুন ও অভিজ্ঞ রূপসজ্জা শিল্পী বা মেকআপ আর্টিস্টদের এক প্রতিযোগীতা, যেখানে বহু মডেল তাদেরই কল্পনায় ও প্রসাধনে সেজে উঠবেন নানান রূপে। বিচারকের আসনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা, মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া উষসী সেনগুপ্ত, রূপসজ্জা শিল্পী সুরজিৎ দত্ত ও অমিত কর্মকার। বিশেষ অতিথির আসন আলোকিত করলেন বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিধায়ক শ্রী মদন মিত্র। অনুষ্ঠানটিতে সংগীত পরিবেশন করেছেন সপ্তক সানাই দাস যিনি ইতিমধ্যেই সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'অতি উত্তম' এবং 'X=প্রেম' নামে দুটি ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন। বিজয়ীদের জন্য নগদ অর্থ ও বিনোদন জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। অনুষ্ঠানটিতে সহযোগীতায় 'বি বনি' ও 'আর্টল্যান্ড'। ইভেন্ট তত্ত্বাবধানে ছিল 'ইভেন্টিজা' ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন