/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/10/madhavan.jpg)
আরিয়ানের জামিনে শাহরুখের পাশে মাধবন
গত ২৫ দিন ধরে ঝড়-ঝাপটা। রাতে ঘুম নেই। হতাশাগ্রস্ত প্রায় অবস্থা বাবা শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan)। তবে বৃহস্পতিবার সমস্ত দীর্ঘশ্বাসের অবসান। বম্বে হাইকোর্টের রায়ে চিন্তামুক্ত কিং খান। বলিউডেও উচ্ছ্বাস। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে। শুক্রবার যে জীবনের সবচেয়ে বড় রিলিজের অপেক্ষা করছেন কিং খান, তা বলাই বাহুল্য। আদালতের রায়ে খুশি আর মাধবনও (R Madhavan)। আর সেই প্রেক্ষিতেই অভিনেতার মন্তব্য, "একজন বাবা হিসেবে স্বস্তি পেলাম।"
হাজার হোক বাবার মন। সব বাবা-মায়েরাই চান তাঁদের সন্তান যেন দুধে-ভাতে থাকে। তাই শাহরুখ-পুত্র যখন মাদককাণ্ডে জড়িয়ে জেলে হেফাজতে ছিলেন, ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী হিসেবে তাঁর মানসিক কষ্ট বুঝতে দেরি হয়নি মাধবনের। তিনিও তো সন্তানের বাবা। সদ্য, সাঁতার প্রতিযোগীতার ৭ নম্বর পদক ঘরে নিয়ে এসেছে মাধবনের ছেলে বেদান্ত। বাবা হিসেবে তিনি যে গর্বিত, সে কথাও সোশ্যাল মাধ্যমে জানিয়েছেন অভিনেতা। আর আজ বৃহস্পতিবার যখন শাহরুখ-পুত্রের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হল বম্বে উচ্চ আদালতে, তখনও নিজের উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেননি মাধবন। অতঃপর টুইট করে শাহরুখের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
আর মাধবনের মন্তব্য, "ঈশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাবা হিসেবে ভীষণ স্বস্তি বোধ করছি। সব ভাল হোক। ইতিবাচক হোক।"
<আরও পড়ুন: ‘অন্তর্বাস না মঙ্গলসূত্রের বিজ্ঞাপন?’, হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ সব্যসাচীর বিরুদ্ধে>
Thank god . As a father I am So relieved .. … May all good and positive things happen.
— Ranganathan Madhavan (@ActorMadhavan) October 28, 2021
প্রসঙ্গত, বিগত ৩ অক্টোবর থেকে আরিয়ান খান (Aryan Khan) পুলিশি হেফাজতে। একাধিকবার নাকচ হয়েছে তাঁর জামিনের আবেদন। এদিকে ছেলের চিন্তায় মন্নতে বসে বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছিলেন শাহরুখ খান। বদলেছেন আইনজীবীও। তবুও কোনও সুবিধে করতে পারেননি এযাবৎকাল। মঙ্গলবার, বুধবার পরপর ২ দিন আরিয়ানের জামিনের শুনানি বম্বে হাইকোর্টে মুলতুবি রাখা হয়েছে। শেষমেশ বৃহস্পতিবার দুপুরে উচ্চ আদালত স্বস্তির রায় শোনাল কিং খানকে। পঁচিশ দিনের মাথায় মাদককাণ্ডে জামিন পেলেন শাহরুখ-পুত্র। সেই প্রেক্ষিতে শাহরুখের ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী তথা শুভাকাঙ্ক্ষীরা যে বেজায় উচ্ছ্বসিত, তা বলাই বাহুল্য। অনুরাগীরাও মন্নতের বাইরে ভীড় জমিয়েছেন প্ল্যাকার্ড হাতে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন