আমির খানের ব্লক-ব্লাস্টার ছবি 'রং দে বসন্তী'তে নয় মিনিটের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আর তাতেই নাকি অমরত্বপ্রাপ্তি ঘটেছে আর মাধবনের (R Madhavan)। বলছেন অভিনেতা খোদ।
স্মৃতিচারণ করে মাধবন জানালেন, কোনও সিনেমার চরিত্রকে যদি সেভাবে গুছিয়ে লেখা হয়, এটার অমরত্বপ্রাপ্তি ঘটে। সেই চরিত্রে স্ক্রিনপ্রেসেন্স কতটা, সেটা বড় কথা নয়। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবিতে মাত্র আট দিনের জন্য কাজ করেছিলেন, যেখানে আমির খান (Aamir Khan)-সহ বাকি অভিনেতাদের গোটা একবছর ধরে শুট করতে হয়েছিল, কিন্তু ওই আট দিন কাজ করেই আমার নাম যেন 'রং দে বসন্তী'র (Rang De Basanti) আরেকটা সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহেরাকে কীভাবে রাজি করিয়েছিলেন চরিত্রটা নিজের মতো করে করার জন্য, সেকথাও জানিয়েছেন অভিনেতা। মাধবনের কথায়, আমি চেয়েছিলাম, "মৃত্যুর দৃশ্যটা যেন মানুষকে নাড়িয়ে দেয়।" পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, "গোটা ছবিতে মাত্র ৯ মিনিটের রোল ছিল। তার আগে অবশ্য সিদ্ধার্থের চরিত্রটা করার কথা আমারই ছিল। কিন্তু সেইসময়ে আমার চুল লম্বা থাকায়, বাদ পড়ে যাই। শেষমেশ বিমানচালকের চরিত্রটা আমার কপালে জোটে।"
<আরও পড়ুন: গাড়ি থামিয়ে ভক্তের কাছ থেকে ফুটের ‘সামোসা পাও’ খেলেন সারা! মুগ্ধ নেটজনতা, দেখুন ভিডিও>
আসলে একজন অভিনেতা পর্দায় কীভাবে নিজেকে তুলে ধরছে, সেখানেই কৃতিত্ব। আজও যখন কেউ 'রং দে বসন্তী'র কথা বলেন, আমি ভাবি আমার নামটাও কোথাও গিয়ে সার্থক হয়ে গিয়েছে। আমিরই আমাকে জিজ্ঞেস করে ম্যাডি, তোমাকে একটা চরিত্রে অভিনয় করতে হবে, তুমি কি প্লিজ লেফটেন্যান্ট রাঠোর চরিত্রে অভিনয় করতে পারবে? এরপর আমি যখন আমির আর পরিচালক রাকেশের সঙ্গে চিত্রনাট্যটা পড়ে বিমানচালকের ভূমিকাটা দেখি, তখন বুঝতে পারি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ওই চরিত্রটা।
মাধবন তো সটান আমিরকে বলেই ফেলেন, "ভাই তোমরা আমাকে একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক, প্রকৃত বন্ধু, প্রকৃত সন্তানের চরিত্রে অভিনয় করার কথা বলছো।" হতবাক হয়ে রাকেশকে বলেন, "আমি এযাবৎকাল যেমস্ত সিনেমা করেছি, তার থেকে এটা অনেক আলাদা।" কিন্তু পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহেরাই শেষমেশ রাজি করান মাধবনকে। আর সেই চরিত্রের জন্য কোনওরকম অতিরঞ্জিত অভিনয় দরকার হয়নি মাধবনের। বললেন, "রাকেশের উপদেশে শুনে খুব ন্যাচরালি সেটা করে ফেলেছিলাম আমি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন