উত্তরবঙ্গের অভয়ারণ্যে চলছিল মধুমিতা সরকার অভিনীত এক বাংলা সিনেমার শুটিং। সেখানেই ঘটে বিপত্তি! রণে ভঙ্গ দেন জলপাইগুড়ি বনবিভাগের কর্মীরা। যার জেরে পত্রপাঠ বন্ধ করে দেওয়া হয় মধুমিতার (Madhumita Sarcar) সিনেমার ছবির কাজ।
Advertisment
সূত্রের খবর, এদিন জলপাইগুড়ি জেলার মোরাঘাট বনাঞ্চলের অন্তর্গত খুঁটিমারিতে বেআইনিভাবে ড্রোন উড়িয়ে শুট করা হচ্ছিল। এদিকে অভয়ারণ্য অন্তর্গত অঞ্চলগুলিতে ড্রোন উড়িয়ে শুটিং করার জন্য বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয় বনবিভাগের তরফে। কিন্তু টালিগঞ্জের খ্যাতনামা প্রযোজনা সংস্থা বনবিভাগের কাছ থেকে সেই বিশেষ অনুমতি আদায় করেনি। ফলে, অভয়ারণ্যে ড্রোন উড়িয়ে শুটিং করার খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান বনবিভাগের কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থার টিমের কাছ থেকে ওই ড্রোনটিকেও বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই নজরে আসে। তারপরই তাঁরা খবর দেন বনবিভাগে। তড়িঘড়ি সেখানে গিয়ে তাঁরা শুটিং পার্টির কাছে ড্রোন নামানোর নির্দেশ দেন। সেটিকে বাজেয়াপ্তও করা হয়। এদিন মধুমিতাও শুটের জন্য উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের ওই অভয়ারণ্যে। এই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি লোকেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে উত্তরবঙ্গের অভয়ারণ্যে 'ফেলুদা' সিরিজের শুটিং করার সময়ে এই একই বিপাকে পড়তে হয় সৃজিত মুখোপাধ্যায়কেও। বেআইনিভাবে ড্রোন উড়িয়ে শুট করার অভিযোগ ওঠে পরিচালকের বিরুদ্ধে। ফলে ক্ষণিকের জন্য শুটিংও বন্ধ করে দিতে হয়। এবার সেই একই অভিযোগ উঠল মধুমিতা সরকার অভিনীত সিনেমার টিমের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, সিনেমা কিংবা সিরিজের আদর্শ লোকেশন হিসেবে একাধিকবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গল ও অভয়ারণ্য উঠে এসেছে। কিন্তু বারবার কেন বনবিভাগের বিনা অনুমতিতে শুটিং করছেন বাংলা সিনেমার প্রযোজনা সংস্থাগুলো? সেই প্রশ্নই তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন