Madhumitha Sarcar Latest Dress: বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত পরিচিত নাম মধুমিতা সরকার। ছোট পর্দা থেকে জার্নি শুরু। ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রিতে পায়ের তলার জমি শক্ত করেছেন। বড় পর্দা থেকে সিরিজ, মধুমিতায় মজে অনুরাগীরা। ২০২৪ সালটা মধুমিতার কাছে একটু 'স্পেশ্যাল'। কারণ গত বছরই অভিনেত্রীর জীবনে এসেছে নতুন প্রেমের বসন্ত।
মহাষ্টমীর দিনই দেবমাল্যর সঙ্গে সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছেন ছোট পর্দার পাখি। আর নতুন বছরের শুরুতেই লিখলেন, 'ফুল ফুটুক নাই বা ফুটুক,আজ বসন্ত'। তবে এই লাইনের নেপথ্যে রয়েছে এক বিশেষ কারন। ১০ হাজার গোলাপ দিয়ে তৈরি ড্রেস পরে 'ফুলকুমারি' মধুমিতাকে দেখে তাজ্জব ভক্তরা।
মধুমিতার লুকের সঙ্গে আজ একটা গান যেন একদম পারফেক্ট ম্যাচ। আর সেটা হল, 'ফুলকলি রে ফুলকলি...'। শরীর জুড়ে রকমারি গোলাপের বাহার। মধুমিতার এই রূপ দেখে নিশ্চয়ই চোখ সরাতে পারছেন না তাঁর মনের মানুষ দেবমাল্য। এবার তাহলে ১০ হাজার গোলাপ দিয়ে নতুন করে প্রেম নিবেদন করবেন?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের তরফে এই প্রশ্ন করা বলে লাজুক হেসে উত্তর দেন, 'সে তো বলেছে ফ্রেমে ১০ হাজার একটা (১) গোলাপ দেখতে পাচ্ছে।' সঙ্গে সঙ্গে পালটা প্রশ্ন, এই ১০ হাজারের সঙ্গে একটা গোলাপ তাহলে মধুমিতা সরকার? হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বলেন, 'সেটা বলতে পারব না।'
সত্যিই তো প্রিয়তমার এমন সাজ দেখে...!! ফেলু বক্সীর প্রমোশনে কিংবদন্তী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের নানা ধরনের ছবি কেটে বানানো একটি টি-শার্টে নজর কেড়েছিলেন মধুমিতা। এবার 'ফ্লোরাল' ড্রেসে একেবারে অপরূপা। এই ড্রেস প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একটা কথা না বললেই নয়, ১০ হাজার গোলাপ দিয়ে ড্রেসটির আইডিয়া কিন্তু খোদ বং বিউটি মধুমিতা সরকারের। এক ডিজাইনার বান্ধবীর সাহায্য নিয়ে শখপূরণ করেছেন অভিনেত্রী।
এই ধরনের ইউনিক স্টাইল স্টেটমেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনকে মধুমিতা বলেন, 'অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম এইরকম একটা থিমের ড্রেস পরব। অনেক ম্যাগাজিনেও দেখেছি ফুলের ড্রেস পরে ফটোশ্যুট করে। আমারও ইচ্ছে ছিল। শখটা পূরণ করলাম আর কী।' ড্রেস বানানো প্রসঙ্গে অভিনেত্রী যোগ করেন, 'আমার এক ডিজাইনার বান্ধবীকে মনের ইচ্ছের কথা বলেছিলাম। কী ধরনের পোশাক আমি চাইছি সেটা বলে দিয়েছিলাম। ফুলের পোশাকের ডিজাইনটা আমিই করেছি। ও শুধু বানিয়ে দিয়েছে।'
মধুমিতা কী তাহলে এবার অভিনয়ের পাশাপাশি 'ফ্যাশন-ডিজাইনিং'-এর দুনিয়াতেও অবদান রাখতে চলেছেন? হেসে বলেন, 'না না সেইরকম কিছু নয়। এটা তো আমার কনসেপ্ট ছিল জাস্ট। আবার যদি কখনও ইউনিক কোনো জিনিস মাথায় আসে তখন করব। এই আর কী।'
ফুলের পোশাক পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজের কেমন লাগল? তিনি বলেন, 'বেশ ভালই লেগেছিল। এক কষ্ট করে ড্রেসটা বানানো। তবে একটা জিনিস মনে হচ্ছি, ১০ হাজার গোলাপ কম হয়ে গিয়েছে। আমি চেয়েছিলাম ড্রেসের কোনও অংশই যাতে দেখা না যায়। পুরোটাই গোলাপে ঢাকা থাকবে।' ১০ হাজারের গোলাপের তৈরি ড্রেসের ওজন কত? সামলাতে কোনও অসুবিধা হয়নি? মধুমিতা বলেন, 'অনেক ওয়েট। ১০ হাজার গোলাপ! প্রায় সাত কিলো আট কিলো।'