'অভিযাত্রিক' ছবির মহরত উপলক্ষে সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন মধুর ভান্ডারকর। সেখানেই তাঁকে পাকড়াও করে শুরু হল আড্ডা। বাংলা সিনেমা থেকে ওয়েব সিরিজ বাদ পড়ল না কিছুই। কথা বললেন নিজের পরবর্তী ছবি নিয়েও।
অভিযাত্রিক-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা কেন ভাবলেন?
কারণ, আমার মনে হয়েছে চিত্রনাট্য অসাধারণ। তাছাড়া চিরকালই বাংলা ছবির ভক্ত আমি, সেই সাদা-কালোর যুগ থেকে। মনে আছে, ভিডিও ক্যাসেটে ছবি দেখতাম। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্মিক ঘটকের মতো বিখ্যাত পরিচালকদের ছবি দেখেছি। পরিচালককে যখন গল্পটা বলেন আমার ভাল লাগে।
এটা একটা পিরিয়ড ছবি, সুতরাং তার পোশাক নির্বাচন থেকে সেট সমস্ত কিছু মাথায় রাখতে হয়েছে। আমি সত্যজিৎ রায়ের অন্ধভক্ত বলতে পারেন। তাই অপু ট্রিলজির পরের অংশটার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চেয়েছিলাম।
আরও পড়ুন, অ্যাকশনে বাজিমাত কোয়েলের, মগজাস্ত্রে শান দিতে প্রস্তুত ‘মিতিন মাসি’
কিন্তু বাঙালির কাছে সত্যজিৎ রায় সেন্টিমেন্ট বলা যায়, এদিক থেকে ওদিক হলে তো বিতর্ক অবধারিত।
সে কারণেই ছবিটা তৈরির আগে প্রচুর রিসার্চ করতে হয়েছে। আমার ভিডিও লাইব্রেরীতে তো সত্যজিতের সমস্ত ছবি রয়েছে। ওনার ছবি শেষ হচ্ছে অপু কাজলকে কোলে তুলে নিচ্ছে, অভিযাত্রিকের চিত্রনাট্য ঠিক সেখান থেকে শুরু হচ্ছে। মূল বইয়ের পরের অংশটাই দেখানো হবে।
পরিচালক মধুর ভান্ডারকর। ফোটো- ইনস্টাগ্রাম
আরও পড়ুন, ‘ব্যোমকেশ’-এর প্রথম ঝলক, উৎসাহ জিইয়ে রাখলেন পরম-রুদ্র
পরিচালককে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন?
না, শুভ্রজিৎ পড়াশোনা করে চিত্রনাট্যটা তৈরি করেছে। তাছাড় বিভূতিভূষণের বইয়ে যা রয়েছে সেখান থেকে গল্পটা বলছেন পরিচালক। ট্রিলজি রিমেক করা হচ্ছে না।
আপনার নতুন ছবি কি আসছে?
এখনও চিত্রনাট্য লেখার কাজ করছি। বালি মাফিয়া নিয়ে ইন্সপেক্টর গালিব তৈরি করব। এখনই ছবিটা নিয়ে কথা বলার মতো সময় আসেনি। ছবির কাস্টিংও করা শুরু করিনি।
শেষ কোন বাংলা ছবি দেখেছেন?
একটু ভেবে অটোগ্রাফ দেখেছি। আর হ্যাঁ রাজকাহিনীও দেখেছি।
আরও পড়ুন, আমি তো খুব ছোট, কী করব বলো আমি তো ছোটই: সম্পূর্ণা
গুমনামী দেখবেন, ছবিটা নিয়ে বিতর্কও চলছে?
হ্যাঁ আমি জানি। খুব সু্ৃন্দর পোস্টার ছিল। এই বিষয়টা চিরকাল আমাদের কাথে রহস্যই রয়েছে। ছোট থেকে গুমনামী বাবার কথা শুনেছি, কেউ তাঁর উপর চিত্রনাট্য তৈরি করেছে। ভাবলেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। তবে যাই বিতর্ক হোক, ছবিটা ছবির মতো করেই দেখি।