/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/08/MBpWrklGUm8C5PkmV7A3.jpg)
কেন এত তাঁকে নিয়ে আলোচনা...
যদিও মালাইকা অরোরার অভিনয় জীবন খুব একটা বড় পরিসরে কোনওদিন বিস্তার পায়নি, তবু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি সবসময়ই থেকেছেন। এর মূল কারণ তাঁর অনন্য নাচের দক্ষতা, যা তাঁকে বছরের পর বছর একাধিক জনপ্রিয় বলিউড গানে বিশেষ উপস্থিতির সুযোগ করে দিয়েছে। পর্দার বাইরের ব্যক্তিত্বও তাঁকে আরও জনপ্রিয় করেছে, যার ফলে বিভিন্ন রিয়েলিটি শো-এ বিচারকের আসনে তিনি নিয়মিত মুখ হয়ে উঠেছেন।
তবে অনেক নারী সেলিব্রিটির মতো মালাইকাও ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনের নানা দিক নিয়ে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি এইসব সমালোচনা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন।
হিন্দুস্তান টাইমস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মালাইকা বলেন, “মানুষ সবসময় বলতে ভালোবাসে আপনার কী করা উচিত বা উচিত নয়। আমার ক্যারিয়ার, পোশাক থেকে শুরু করে সম্পর্ক—সব কিছুর জন্য আমাকে বিচার করা হয়েছে। তবে যেদিন আমি নিজেকে ব্যাখ্যা করা বন্ধ করেছি, সেদিনই আমি সত্যিকারের মুক্তি অনুভব করেছি। একমাত্র আখ্যান যা গুরুত্বপূর্ণ, সেটি আমি নিজের জন্য লিখি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাকে বলা হয়েছে আমি খুব সাহসী, খুব স্পষ্টভাষী, কিংবা অনেক বেশি। কিন্তু আজ আমি এইসব শব্দকেই গর্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি। যদি আমি কারও কাছে ‘খুব বেশি’ কিছু হই, তবে তারা হয়তো আমার জন্য যথেষ্ট নয়। ফ্যাশন, ফিটনেস বা আমার ব্যক্তিগত পছন্দ- কোনও কিছুর ক্ষেত্রেই আমি কখনও বাঁধাধরা নিয়ম মানিনি। আমার বিশ্বাস, আসল আত্মবিশ্বাস আসে তখনই, যখন আপনি দুনিয়ার জন্য অভিনয় না করে নিজের জন্য বাঁচতে শেখেন।”
আচমকাই সব শেষ, চলে গেলেন ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট
আত্ম-সন্দেহের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কিছু দিন আসে, যখন আমিও নিজেকে প্রশ্ন করি। তবে সময়ের সঙ্গে শিখেছি, সমালোচনার বদলে দয়া দিয়ে এই মুহূর্তগুলোর মোকাবিলা করতে। আমার কাছে আত্মবিশ্বাস মানে সন্দেহহীন হওয়া নয়, বরং সেই সন্দেহ সত্ত্বেও সৌজন্যের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া।"
মালাইকা অরোরা সর্বাধিক পরিচিত শাহরুখ খানের সঙ্গে “ছাইয়া ছাইয়া” (দিল সে, 1998) এবং সালমান খানের সঙ্গে “মুন্নি বদনাম হুই” (দাবাং, 2010)-এর মতো কালজয়ী গানে তাঁর উপস্থিতির জন্য। এ ছাড়া তিনি কান্তে (2002), ইএমআই (2008) ও হাউসফুল (2010)-এর মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একসময় সালমান খানের ভাই, অভিনেতা ও প্রযোজক আরবাজ খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন, তাঁদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।