/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/17/vHsmFpsFgfgXTdHFrizI.jpg)
প্রয়াত অভিনেতা
মালায়ালাম সিনেমার কিংবদন্তি প্রেম নাজিরের পুত্র এবং অভিনেতা শানাভাস সোমবার তিরুবনন্তপুরমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
শানাভাস তিরুবনন্তপুরমে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চেন্নাইয়ের দ্য নিউ কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে সিনে জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৮১ সালে পরিচালক বালচন্দ্র মেননের প্রেমা গীতাঙ্গল ছবির মাধ্যমে তাঁর রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে। সেই সময় তাঁর বাবা প্রেম নাজির মালায়ালাম চলচ্চিত্রে এক শক্তিশালী উপস্থিতি ছিলেন, যার প্রভাব শানাভাসের প্রথম দিককার পরিচিতি অর্জনে সাহায্য করেছিল।
Mahua Moitra: পঙ্কজে মুগ্ধ, কালীন ভাইয়ার কাছে মোক্ষম আবদার কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়ার, পূরণ হল কী?
পরবর্তী বছরগুলিতে শানাভাস একাধিক নামী নির্মাতা ও শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেন। কোরিথারিচা নাল, গানম, ইভান ওরু সিমহাম, রথিলায়ম, ও হিমাম তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে অন্যতম। তবে, তিনি কখনও তার বাবার মতো সুপারস্টার হতে পারেননি। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ারে ভাটা পড়ে। ১৯৯১ সালের পর তিনি দীর্ঘদিন পর্দার বাইরে ছিলেন। ২০১০-এর দশকে চায়না টাউন, ওরিদাথোরু পোস্টম্যান ও কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস-এর মতো সিনেমার মাধ্যমে ফেরেন। তাঁর শেষ অভিনীত ছবি ছিল, ২০২২ সালের 'জনগণ মন', যেখানে তিনি পৃথ্বীরাজ সুকুমারন ও সুরজ ভেঞ্জারমুডুর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন।
সিনেমার পাশাপাশি, শানাভাস শঙ্খমুখম, ভেলুথা কথ্রিনা, কদমাতাথু কথানার, ও সত্যমেব জয়তে-এর মতো টেলিভিশন ধারাবাহিকেও অভিনয় করেন। শানাভাস ফেলে রেখে গেছেন স্ত্রী আয়েশা আব্দুল আজিজ, দুই পুত্র অজিত খান ও শামির খান এবং পুত্রবধূ হানা-কে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পালায়াম মুসলিম জামাত কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us