/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/25/Z6cs0QbuYidCkhofSM4n.jpg)
চিকিৎসক পাত্র রুদ্রর সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হলেন টেলি অভিনেত্রী মল্লিকা
Mallika Banerjee New Life: ছোট পর্দার অত্যন্ত পরিচিত মুখ মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে 'গীতা এলএলবি' ও 'দুই শালিক' ধারাবাহিকে কাজ করছেন। ২৪ জানুয়ারি জীবনটাকে নতুন করে সাজালেন মল্লিকা। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের সাক্ষী থাকত ১৭ বছরের মেয়ে গরিমা। বলা ভাল, দাঁড়িয়ে থেকে মায়ের বিয়ে দিল। সিনেমার পর্দায় আমরা এই রকম গল্প দেখেছি। মেয়ে তাঁর মাকে বিয়ে দিচ্ছে। সিনেমার গল্পই যেন এবার বাস্তবে। অনেকটা কম বয়সেই প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন মল্লিকা। কিন্তু, মেয়ে একটু বড় হতেই সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। একাই মেয়েকে মানুষ করছেন।
জীবনে বেশ কয়েকবার প্রেমের বসন্ত এলেও তা টেকেনি। সম্পর্কের উপর থেকে যখন বিশ্বাস উঠে যাচ্ছিল সেই সময়ই মল্লিকার জীবনে আসেন সেই স্বপ্নের রাজপুত্তুর। পেশায় চিকিৎসক রুদ্রর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন মল্লিকা। মায়ের বিয়ের পিঁড়ি ধরলেন মেয়ে গরিমা। নতুন জীবন নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন রুদ্র ঘরণী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রেমের সূত্রপাত থেকে নতুন শ্বশুরবাড়ি নিয়ে খোশ মেজাজে কথা বললেন নববধূ।
এতগুলো বছর পর আবার সেই লালা বেনারসিতে কনের সাজ। এই মুহূর্তটা ভীষণ দামী তো? নববধূ মল্লিকা ফোনের ওপারে মন খুলে হেসে বলেন, 'এই প্রতিটা মুহূর্ত আমি এনজয় করছি। যে মুহূর্তটা আমার জীবনে এল সেটা আমি খুব যত্ন করে ধরে রাখার চেষ্টা করছি আর করব।' মেয়ের উদ্যোগেই জীবনটাকে আরও একবার গুছিয়ে নেওয়ার সাহস পেলেন তো? তাঁর কথায়, 'একদমই তাই। ও সাহস না দিলে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবতেই পারতাম না। ও সাহস জুগিয়েছে বলেই আজ আমি জীবনটাকে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়ার জায়গায় পৌঁছলাম।'
সিরিয়ালকে সঙ্গী করেই নতুন সংসার সাজানোর স্বপ্ন নাকি...? কথা একপ্রকার থামিয়ে দিয়ে নববধূ মল্লিকা বলেন, 'রুদ্র ভীষণ সাপোর্টিভ। ওঁর বাড়ির প্রত্যেকে ভীষণ ভাল। কাজ কতটা গুরুত্ব সেটা প্রত্যেকে বোঝেন। ওঁর মায়ের আমার কাছে একটাই চাহিদা আমি যেন কোনওদিন কাজ বন্ধ না করি। উনি বলেছেন, তোমার উন্নতির পিছনেই আমাদের আনন্দ লুকিয়ে আছে। আমার পেশাটাকে উনি ভালবাসেন। খুব উৎসাহ দেন।'
বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় লেগে গেল? মল্লিকা জানান, 'হ্যাঁ, তা একটু লেগে গেল। আমার মনে অনেক রকম ভাবনা এসেছে। আমার একটু দ্বিধা ছিল। আমার একটা মেয়ে রয়েছে। ওর দায়িত্ব তো আমার। বিয়ের বিষয়ে মেয়ের মতামতটাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সব মিলিয়েই একটু চিন্তা হত। কিন্তু, রুদ্র কোনওদিন এসব নিয়ে ভাবেনি। লক্ষ্য স্থির ছিল।'
মল্লিকা না রুদ্র, কে প্রথম কাছে এসেছে? অভিনেত্রীর অকপট জবাব, 'আসলে সেভাবে কিছু হয়নি। এক কমন বন্ধুর পার্টিতে আমাদের প্রথম দেখা। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। রুদ্রর আমাকে প্রথম থেকেই ভাল লেগেছিল। কিন্তু, আমি সত্যিই ভাবিনি। পরে বুঝতে পারি রুদ্র বন্ধুত্বের থেকে একটু বেশি কিছু আশা করছে। ওঁর সততা, ধৈর্য দেখে আমিও ভাবলাম সম্পর্কটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।'
মনের কথা প্রথম যেদিন মেয়ে জানল সেদিন কী প্রতিক্রিয়া ছিল? মল্লিকা জানান, 'আমি ওকে বলেছিলাম একজন আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু, গরিমা আমি এখনও কিছু ভাবিনি। কোনও সিদ্ধান্তও নিইনি। মেয়ে রুদ্রর সঙ্গে কথা বলে, ওকে দেখে এক সেকেণ্ডও ভাবেনি। আমাকে বলেছিল, মানুষটা ভাল। ওঁর সঙ্গে জীবনটা ভালভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।'