২০০০ সালের গোড়ার দিক। লাস্যময়ী লুকে বড়পর্দায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন মল্লিকা শেরাওয়াত (Mallika Sherawat)। চিরাচরিত বাণিজ্যিক বিগ বাজেট বলিউড সিনেমাগুলোয় তাঁকে দেখা না গেলেও নবীন প্রজন্মের পুরুষ হৃদয়ে হিল্লোল তুলেছিলেন মল্লিকা। কিন্তু হঠাৎ-ই কেরিয়ারের মধ্যগগনে বলিউড থেকে বিদায় নিয়ে হলিউডে পা রাখেন অভিনেত্রী। কিন্তু সিনেপর্দায় এতটা ক্রেজ সৃষ্টি করার পরও কেন বলিউডের কোনও বিগ বাজেট ছবিতে দেখা পাওয়া যায়নি মল্লিকার? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নের উত্তর দেন অভিনেত্রী।
মল্লিকার উদ্দেশে প্রশ্ন ছোঁড়া হয়েছিল যে, সাফল্য আসা সত্ত্বেও বলিউডের প্রথম সারির নায়কদের বিপরীতে তাঁকে দেখা যায়নি কেন? এপ্রসঙ্গে অভিনেত্রীর উত্তর, "একটাই কারণ। আমি নাম-ডাকওয়ালা অভিনেতা কিংবা প্রযোজকরা যেটা চাইতেন আমার কাছ থেকে সেটা দিতে পারিনি। যাঁরা চেয়েছিলেন আমি কম্প্রোমাইজ করি, কিন্তু তাঁদের সামনে আমি মাথা নোয়াইনি। আমি হরিয়ানার মেয়ে। আত্মমর্যাদা থাকার পাশাপাশি নিজেকে নিয়ে খুব গর্বিতও আমি। আমি মুখের ওপর জানিয়ে দিয়েছিলাম যে আমি কম্প্রোমাইজ করতে পারব না। আমার দরকার নেই বড় ব্যানারের সিনেমার। তাই জন্যই আজ পর্যন্ত কোনও বলিউডের প্রথম সারির হিরোর বিপরীতে আমাকে দেখা যায়নি।"
<আরও পড়ুন: করণ জোহরের বড় চমক! প্রথমবার ভারতীয় ছবিতে ‘কিং অফ রিং’ মাইক টাইসন>
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে 'খোয়াইশ', ২০০৪ সালে 'মার্ডার'-এর মতো সিনেমা করে রীতিমতো সুপারহিট নায়িকা হয়ে উঠেছিলেন মল্লিকা শেরাওয়াত। ২০০২ সালে 'জিনা সির্ফ মেরে লিয়ে' সিনেমার হাত ধরেই বলিউডে ফিল্মি কেরিয়ারের শিকে ছেঁড়েন তিনি।
মল্লিকার মন্তব্য, "ইন্ডাস্ট্রিতে সরাসরি তাঁকে কখনও কাস্টিং কাউচের সম্মুখীন হতে হয়নি। আমার মনে হয়, আমি খুব ভাগ্যবান। স্টারডম খুব সহজে পেয়ে গিয়েছি আমি। মুম্বই আসার পর খোয়াইশ, মার্ডার-এর মতো ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাই। সেভাবে স্ট্রাগল করতে হয়নি কখনও। কিন্তু মার্ডার রিলিজ করার পর থেকেই অনেক অভিনেতার তরফে বিভিন্নরকম প্রতাব পেয়েছিলাম। যেহেতু ওই সিনেমায় আমার চরিত্রটা ভীষণই সাহসী গোছের ছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল- তুমি যদি সিনেমার পর্দায় এতটা বোল্ড হতে পারো, তাহলে ব্যক্তিগত জীবনে সেটা হতে অসুবিধে কোথায়?"
যদিও তারপর মল্লিকাকে 'প্যায়ার কে সাইড এফেক্টস', 'ওয়েলকাম' ও 'আগলি অউর পাগলি'র মতো ছবিতে দেখা গিয়েছে। এমনকী ওয়েবদুনিয়াতেও পদার্পন ঘটিয়ে ফেলেছেন তিনি 'নকাব'-এর মাধ্যমে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন