Mamata Shankar On sreela Majumdar: দুজনেই মৃণাল সেনের স্কুলের ছাত্রী। একজন যখন অভিনয়ের রচনা লিখতে পারদর্শী, তখন আরেকজন সবে অ আ শিখছেন। অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর ( Mamata Shaknar ) এবং অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার, কাজ করেছেন বহু ছবিতে। আর আজ, শ্রীলা ( Sreela Majumdar ) নেই।
এই শব্দটাই যেন কানে বাজছে মমতা শঙ্করের। শেষ কাজ করলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ( Kaushik Ganguly ) এর পালান ছবিতে। গতকাল পর্যন্ত ঢাকায় ছিলেন। আজ দেশে ফিরেই শুনতে হল দুঃসংবাদ। অভিনেত্রীর কাছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার ফোন যেতেই ভারি হয়ে এল তাঁর গলা। প্রচণ্ড কষ্ট, চাপা একটা অনুভুতি, যাকে এত সামনে থেকে দেখেছেন তাঁর জন্য যেন শব্দ কম পড়ছে তাঁর।
অভিনেত্রী বলেন, "আমি দুপুর বেলা শুনলাম। প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। ওর সঙ্গে এতবছর ধরে এত কাজ। কত স্মৃতি। এই যে শেষ পালান করলাম, তখনও ও খুব অসুস্থ ছিল। খুব কষ্ট পাচ্ছিল। কিন্তু কিছু বলছিল না। এত ভাল একজন অভিনেত্রী, আমরা যে কি হারালাম।" এ তো গেল শেষ ছবির প্রসঙ্গ। মমতা শঙ্কর আজও ভোলেননি প্রথম দিনের কথা। একই শুটিং ফ্লোর, একই সঙ্গে কত স্মৃতি, কত অনুভূতি।
আরও পড়ুন - Shreela Majumdar: হার মানলেন ক্যানসারের কাছে, তিনবছরের লড়াই শেষ! প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার
বছর ১৬ এর একজন মেয়েকে মৃণাল বাবু ( Mrinal Sen ) হাত ধরে নিয়ে এসেছিলেন সিনেমার রঙিন, তৎকালীন সাদা কালো দুনিয়ায়। তারপর, কত কত ছবি। হিন্দি ছবিও বাদ যায়নি। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মমতা শঙ্করের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন..
"আমার মনে আছে, একদিন প্রতিদিন ছবিতে ওর চরিত্রটা আমার করার কথা ছিল। কিন্তু আমার তখন ছেলে হয়েছিল, তো সেটা করা হয় ওঠেনি। কিন্তু, ভাগ্যিস ও করেছিল! আমার থেকেও ভাল করেছিল। দারুণ অভিনয় করেছিল। আমি হলে এটা পারতাম না। তো, আমার তো তখন ধরো ছেলে হওয়ার আগে সাধের অনুষ্ঠান, কত্ত শাড়ি পেয়েছি। ও আক্ষেপ করে বলেছিল, ইশ! আমার কেন সাধ হয় না, তাহলে আমিও পেতাম এতগুলো শাড়ি..." , বলতে বলতেই যেন গলা ধরে আসছিল মমতা শঙ্করের।
বছরের শুরু যেন আক্ষেপ, এবং দুঃখ নিয়ে এল। একের পর এক তারকা তথা শিল্পীর বিয়োগ। ঘটনায় ভারাক্রান্ত মমতা শঙ্কর। 'প্রতিবছর জানুয়ারি এলেই যেন হিড়িক লেগেছে মানুষ চলে যাওয়ার...' মনে ভিড় করে আসছে কত স্মৃতি। শ্রীলার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিউড।