অতিমারীর (Pandemic) জেরে যে বিশেষ করে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা সবচাইতে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তা বোধহয় আর আলদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। দিন আই দিন খাই মানুষগুলোর রোজগারের পথ বন্ধ। বাড়ির ভাঁড়ারে থাকা চাল, ডাল, অত্যাবশকীয় রসদও অনেকেরই ফুরিয়েছে। যৎসামান্য সঞ্চিত অর্থ দিয়েও আর কদিন? অতঃপর সাহায্যই ভরসা! ঠিক এরকম একটি অবস্থায় কিন্তু সমস্যায় পড়েছেন যৌনকর্মীরাও। খদ্দের নেই। খাবার-রেশন তো দূরের কথা, অনেকেই এইসময়ে আবার মাথা গোজার ঠাঁই নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। গতবছর থেকেই এই আর্থিক সঙ্কটের সঙ্গে যুঝে চলতে হচ্ছে তাঁদের। কলকাতা সোনাগাছির এরকম একটি রূঢ় বাস্তব দৃশ্য গতবার লকডাউনে তুলে ধরেছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। এবারও তাঁদের সমস্যার কোনওরকম সুরাহা হয়নি। অনটনের সঙ্গে যুঝে চলা পতিতালয়ের সেই যৌনকর্মীদের দিকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন টলিউডের তারকা-দম্পতি মানালি দে (Manali Dey) এবং অভিমন্যু মুখোপাধ্যায় (Abhimanyu Mukherjee)।
<আরও পড়ুন: মন খারাপের দিনে পাশে ঋতাভরী, বিনামূল্যে পরামর্শ চান? ফোন করুন হেল্পলাইন নম্বরে>
পুরোটাই এখন অবশ্য আলোচনা স্তরে। সদ্য 'দুর্বার' সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত একজনের সঙ্গে কথা বলেছেন মানালি-অভিমন্যু। সেখান থেকেই জানতে পেরেছেন যে, এইমুহূর্তে যৌনকর্মীদের খাবারের অভাব নেই। কিন্তু তাঁদের হাতে টাকা নেই। আর সেটা নিয়েই চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। কারণ, যৌনকর্মীদের অনেকেই এমন রয়েছেন যে, তাঁরা তাঁদের উপার্জনের একটা বড় অংশ পরিবারের কাছে পাঠান। কিন্তু এই সময়ে ব্যবসা বন্ধ থাকায় তাঁদের হাতে টাকা নেই। কাজেই পরিবারকে সাহায্যও করতে পারছেন না। ওদিকে সমস্যায় পড়েছে যৌনকর্মীদের সন্তানরাও। আর সেই সমস্যার কথা ভেবেই মানালি ক্রাউড ফান্ডিংয়ের কথা ভেবেছেন। যদি এতে তাঁদের কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব করা সম্ভব হয়। সংগ্রহিত অর্থের পুরোটাই তুলে দেওয়া যৌনকর্মীদের হাতে। আপাতত সেরকমই একটি ভাবনা ভেবেছেন তাঁরা।
<আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা জুহি চাওলার>
মানালির স্বামী পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলকে অনুরোধ করেছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এপ্রসঙ্গে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "পুরোটাই এখন আলোচনা স্তরে। খুব শিগগিরিই আমরা কাজ শুরু করব। শুধু কলকাতা নয়, প্রত্যন্ত জায়গাতেও পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করব।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন