এই বাংলা নাকি লন্ডন হবে? এমন কথা শহর কলকাতার হাওয়ায় হাওয়ায় ঘুরলেও, সেদিন কলকাতায় কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে চুমু খাওয়ায় ঘটনায়, ফের একবার বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক মেট্রো স্টেশনে একে অপরকে চুমু খাওয়ায়, নানা মতভেদ এবং মত পার্থক্য শোনা যাচ্ছে। এবার অভিনেত্রী মানসী সিনহা কী বলছেন?
মানসী সিনহা যার ছবি স্বপ্নময় লেন নিয়ে বেশ ব্যস্ত, তিনি কিন্তু এবার মুখ খুলেছেন এই প্রসঙ্গে। চুমু খাওয়া অপরাধ নাকি একদম স্বাভাবিক বিষয়? মমতা শঙ্করের মতামত যদিও বা এই কাজ প্রকাশ্যে একদম ঠিক হয়নি। তবে, মানসীর থেকে শোনা গেল একদম ভিন্ন মতামত। পরিচালক এবং অভিনেত্রীর কথায় একেবারেই অন্যায় হয়নি। বরং, এই শহরে যখন খুন হয়, কিংবা বিপদ হয়, তখন তো কিছু হয় না?
পরিচালকের সাফ কথা, "যে চুমু খেয়েছে বেশ করেছে খেয়েছে। এসব ভেবে লাভ নেই। কলকাতার রাস্তায় খুন হয়ে যাচ্ছে সেই বেলায় কেউ আটকাচ্ছে না। ভিডিও করে তুলছে। চুমু খেলে দোষ! ঐগুলো আটকানোর মানসিকতা তৈরি করতে বলো। যে রাস্তায় অসভ্যতা হবে, মাথা উঁচু করে বলব করো না। সেসব বেলায় মুখ বন্ধ।" এখানেই থামলেন না পরিচালক। বললেন আরও কিছু কথা।
অজানা নয়, বেশ কিছুদিন আগে এদেশের একটি জায়গাতেই প্রকাশ্যে রাস্তায় ধর্ষণ হতে দেখেও পাশ কাটিয়ে চলে যায় বেশিরভাগ। এমনকি, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখেও অনেকে। কিন্তু প্রতিবাদের বেলায় ভয়, এবং নিজের প্রাণ বাঁচানোর তাগিদ। তাহলে সেদেশে কেন, চুমু খেলে অপরাধ হবে। মানসী আরও বলে চললেন...
আরও পড়ুন - Metro Kissing Case: 'জন্তুরাও আমাদের থেকে অনেক ভাল!', কালীঘাট মেট্রোয় চুমু-কাণ্ডে খেপে লাল মমতা শঙ্কর
"দুটো মানুষ ভালবেসে একটু চুমু খেল, তাতে এত কথা। করোনা করোনা করে মাথা খারাপ। আমি এটাই বলব, যারা খেতে পারে না এটা তাঁদের হতাশা। তাঁরা হতাশায় ভোগে।" আর তাঁর এই মন্তব্যই যে তাঁকে আরও মানুষের কাছে এনে দিয়েছে একথা না বললেই নয়। তাঁর অনুরাগী থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই তাঁকে প্রশংসা করে বলেছেন...
"আপনার জন্য শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেল।" আবার কেউ বলছেন, "সত্যিই তারা হতাশায় ভোগে।" আবার কেউ বললেন, মেয়ে এবং ছেলের দুজনের অনুমতিতে কাজটা হয়েছে, এই নিয়ে এত কথা কেন আমি বুঝি না। আবার কেউ বললেন, লোকের মানসিকতা ভীষণ খারাপ আজকাল, আর দিদি আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন।