Mamata Shankar Reaction On Metro Kissing Case: 'আমার চোখে ঠোঁটে গালে তুমি লেগে আছো...', কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে অবলীলায় ঠোঁটে ঠোঁট রেখে গভীর চুম্বনে মত্ত এক প্রেমিকযুগল। পারিপার্শ্বিক কিছুই যেন তখন মাথায় নেই। ভালবাসার অতল সাগরে ডুব দিয়ে প্রেমের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। শরীর জুড়ে তখন যেন শুধুই চুমুর শিহরণ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল সেই ভিডিও। চারিদিকে একেবারে ছিছিক্কার রব। তবে অনেকেই আবার এই চুমুর পক্ষে। রুপোলি দুনিয়ার তারকাদের একটা বড় অংশ যুগলের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। কিন্তু, খোলা জায়গায় প্রেমের বর্হিপ্রকাশ করাটা মোটেই মেনে নিচ্ছেন না স্বনামধন্য অভিনেত্রী ও বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের তরফে মেট্রো স্টেশনের চুমু বিতর্ক কাণ্ডে মমতা শঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এই ঘটনায় তিনি কতটা ক্ষুদ্ধ তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। মমতা শংকর বলেন, 'আমার মনে হয় সব কিছু একটা স্থান কাল পাত্র আছে। এটা করে সে কী প্রমাণ করতে চাইল? এটা দেখে তো মানুষ আরও মুক্তমনা হয়ে যাবে। এটা ভেবেই ভয় লাগছে। রীতিমতো আতঙ্কিত হচ্ছি। পার্ক আছে, অন্য অনেক জায়গা আছে যেখানে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক তাঁদের ভালবাসাকে জাহির করতে পারে। কিন্তু, এটা কী? মেট্রো রেলে চুমু খেয়ে নিজেদের স্মার্ট প্রমাণ করল?'
অভিনেত্রী যোগ করেন, 'চারিদিকে এত ধর্ষণ, খুন হচ্ছে, এরপরও কী করে একজন নারী ও একজন পুরুষ এমন কাণ্ড ঘটাল! এগুলো দেখে তো আরও অনেক খারাপ কিছু ঘটতে পারে। আমি একেবারেই এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করি না। ভালবাসা নিশ্চয়ই থাকবে, চিরকাল থাকবে। স্বাধীনতার নামে অন্যায় কিছুকে সমর্থন করি না। আমাদের পরের প্রজন্মের কথা কেউ ভাবছে না?'
মমতা শঙ্করের চুমু কাণ্ড প্রসঙ্গে সংযোজন, 'ছোট ছোট বাচ্চাদের কথা কেউ ভাবছে না! কিছু জিনিসের শালীনতা-গোপনীয়তা রাখা দরকার। মার্জিত হওয়াটা খুব প্রয়োজন। সস্তায় পপুলার হওয়াটা ভাল নয়। আমার তো মনে হয় এটা ভাইরাল হওয়ার হাতিয়ার। যাঁরা এটিকে সমর্থন করছেন তাঁরা তাঁদের মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন। আমাদের থেকে তো জন্তুরাও ভাল।'
আরও পড়ুন: 'চুমু পেলে চুমু খাব যখন যেখানে ইচ্ছে', মেট্রো স্টেশনে যুগলের চুম্বনের পক্ষে সাফাই বিরসার