/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/30/sohini-2025-08-30-16-34-08.jpeg)
সোহিনীর পাশে...
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/27/sohini-2025-08-27-12-23-33.jpg)
সোহিনীর সমর্থনে...
সোহিনী গঙ্গোপাধ্যায়, সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন হিসেবেই সকলের কাছে বিশেষ পরিচিত। অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় প্রেগন্যান্সির প্রতিটি মুহূর্ত আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করেছেন সোহিনী। মেটারনিটি শুট থেকে সাধভক্ষণের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো প্রত্যেকের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন সোহিনী। কিন্তু, সন্তানের জন্মের সময়ই সেই আনন্দ নিরানন্দে বদলে যাবে সেটা সত্যিই ভাবেননি। ছোট্ট সোনাকে কোলে নিয়ে মাতৃত্বের সাধ আস্বাদনের আগেই কোল শূন্য হয়ে গেল সোহিনীর। আর এই কঠিন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের বাণে বিদ্ধ সন্তানহারা মা! অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন টলিপাড়ার অভিনেত্রীরা, যাঁরা সদ্য মা হয়েছেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/17/H3GsBqJzhHE8ITXZ1z7h.jpg)
মানসীর মত
সম্প্রতি পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন বাংলা মেগার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্ত। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয়। দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সির সময় সুখের মুহূর্তগুলো সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বেবি বাম্প প্রদর্শন থেকে মেটারনিটি ফোটশুট, সাধভক্ষণের রঙিন মুহূর্ত শেয়ার করে আনন্দ উদযাপন করেছেন। ইউটিউবার সোহিনীও গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক নিয়মে সেগুলো করেছেন বলেই মনে করেন মানসী। তাঁর কথায়, 'প্রেগন্যান্সি কোনও অসুখ নয় যে নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখতে হবে। হবু সন্তানকে জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদ পৌঁছে দিতেই হয়ত বেবি বাম্পে ছবি এঁকেছিলেন। আমাকেও প্রেগন্যান্সির সময় অনেক কটূক্তি শুনতে হয়েছিল। কেন আমি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাইরে যাচ্ছি, খোলামেলা পোশাক পরছি, পার্টিতে যাচ্ছি এইরকম অনেক কথা। কিন্তু, আমি এখন আর এগুলো নিয়ে ভাবি না। সোহিনীর সঙ্গে এই মারাত্মক দুর্ঘটনাটা ঘটেছে বলেই আজ সকলে কথা শোনাচ্ছে। এই ক্ষতি অপূরণীয়। এইরকম পরিস্থিতিতে ন্যূনতম সহানুভূতিটুকুই তো কাম্য। কিন্তু, অমানবিক আচরণ! মানসিকভাবে বিধ্বস্ত মেয়েটাকে আরও শেষ করে দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্য এত সহজে সব কিছু হাতের নাগালে এসে গিয়েছে...। সমাজ কী ভাবছে, কী চায় এখন মনে হচ্ছে সেইদিকটা খেয়াল রেখে জীবনযাপন করতে হবে। ২০২৫-এ দাড়িয়ে এইরকম কথা সত্যিই অপ্রাসঙ্গিক।'
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/06/y0omEK8mekgW2ZvAnz35.jpg)
অহনার বক্তব্য
মানসীর মতো সদ্য ফুটফুটে সন্তানের মা হয়েছেন ২১ বছরের অহনা দত্ত। তিনিও অন্তঃসত্ত্বার প্রতিটি মুহূর্তের আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন। মীরার জন্মের পরও প্রতিনিয়ত আপডেট দেন ছোট পর্দার মিশকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সোহিনীকে আক্রমণের বিষয়টা তিনিও মেনে নিতে পারছেন না। অহনার মতে, 'কারও কথায় কান দেওয়া ওঁর কান দেওয়া উচিত নয়। প্রয়োজনে আপাতত কয়েকটা দিন সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখুক। এই কঠিন পরিস্থিতিটা আগে সামলে উঠুক। এই যন্ত্রণায় প্রলেপ লাগানো সত্যিই সম্ভব নয়। তবে আমি বিশ্বাস করি মানুষ যা ইচ্ছে তাই বলে। নিজের কমেন্ট বক্সেও সেই প্রমান পাই। আমি শুধু চাই এই যন্ত্রণা থেকে যত দ্রুত সম্ভব বেরিয়ে আসুক আর খুব তাড়াতাড়ি কোল আলো করে ফুটফুটে সন্তান আসুক।'
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/13/Iavhjmy1EgDog7zDBWXx.jpg)
রূপসার আর্জি
মানসী-অহনার মতো টলিপাড়ার আরও এক নিউলি মাম্মি রূপসা চট্টোপাধ্যায়। শুটের ফাঁকে একটি ভিডিও পোস্ট করে নেটিজেনদের একহাত নিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁরও বক্তব্য একটাই, প্রেগন্যান্সি কোনও অসুখ নয়। এই সময় কাজকর্ম ছেড়ে বাড়ি বসে থাকা মুর্খামি। চিকিৎসকরাই আজকাল প্রেগন্যান্সিতে অ্যাক্টিভ থাকার পরামর্শ দেন। যাঁদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম সেটা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কিন্তু, তার মানে তো এটা নয় জন্মের আগেই যে মায়ের কোল ফাঁকা হয়ে গিয়েছে তাঁকে এভাবে আক্রমণ করা যায়। রূপসার দাবি, তিনিও তো গর্ভাবস্থায় ঘুরেছেন, সব কিছু খেয়েছেন, আনন্দ করেছেন। শুধুমাত্র সোহিনীর সঙ্গে এইরকম একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল বলে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। অথচ আজকের দিনে প্রত্যেকেই মেটারনিটি শুট করা থেকে কাজে যাওয়া সবটাই করেন। যাঁরা এই ধরনের কথা বলছেন তাঁদের বিবেককে জাগ্রত করার আর্জি জানিয়েছেন রূপসা। পুরনো ধ্যান ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে প্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জীবন দর্শনের অনুরোধ অভিনেত্রীর।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/30/539582365_4331215217108981_3058561109816508200_n-2025-08-30-16-40-46.jpg)
কঠিন সময়ের বন্ধু
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে খবরের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনার দিন শ্রুতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এই খবরে সিলমোহর দিয়েছিলেন। পর্দার রাঙা বউ বলেছিলেন, 'এই ঘটনাটা মেনে নেওয়া যায় না। আর এই ক্ষতির তো কোনও ক্ষতিপূরণ নেই। ওকে যে ফোন করব সেই সাহসও আমার নেই। তবে আমি ওঁর পাশে ছিলাম আর আগামীতেও থাকব।'