মেঘনা গুলজারের পরিচালনায় ‘ছপক’ ছবিতে লক্ষ্মী আগারওয়ালের ভূমিকায় অভিনয় করবেন দীপিকা পাড়ুকোন। অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগারওয়ালের জীবনের কঠিন বাস্তবকে ছবির পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে চান পরিচালক। বিগত শেষ ক’টি ছবিতে কয়েকবছর ধরে দীপিকাকে ল্যাহেঙ্গা ও ভারী গয়নায় দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল দর্শক। তবে এবার সেই চেনা গতের বাইরে বেরিয়ে সাহসী চরিত্রে অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পদ্মাবত অভিনেত্রী।
ছবিতে দীপিকা ছাড়াও রয়েছে বিক্রান্ত মেসি। ছবিতে মালতি চরিত্রে দেখা যাবে দীপিকাকে। মাত্র ৪৩ দিনে শেষ হয়েছে 'ছপক'-এর শুটিং। ২০২০-র ১০ জানুয়ারী মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। শুট শেষ হওয়ার পর মুম্বই মিররের সঙ্গে দীপিকার চরিত্র নিয়ে কথা বললেন মেঘনা গুলজার। তিনি বলেন, ''এখানে মালতি ছিলই, এবং তারপর দীপিকা মালতি হয়ে উঠেছে। দীপিকার চোখের চাহনি ও মুখে প্রসথেটিক মেকআপ সহ অভিব্যক্তিই তো মালতি। আমার কাছে মালতিই দীপিকা, দীপিকাই মালতি।''
আরও পড়ুন, সলমন-আলিয়ার ‘ইনশাআল্লাহ’ মুক্তি পাবে আগামী বছর
'ছপকে'র পরিচালক মেঘনা গুলজার প্রকাশ্যে আনলেন দু'ঘন্টা প্রসথেটিক মেকআপের জন্য বসে থাকাটা দীপিকার জন্য সহজ ছিল না। কিন্তু লক্ষ্মীর মতো চেহারা করতে যে ঝক্কি ক্যামেরার পেছনে সামলাতে হয়েছে সেটা সামনে বোঝা যায়নি। তিনি আরও বলেন, ''কিন্তু আপনি ক্যামেরার সামনে ওকে দেখতে বুঝতে পারবেন না নেপথ্যে কতটা ঝামেলা সামলেছে। আর এটাই সবথেকে সুন্দর।''
বয়স তখন তাঁর ১৫ বছর। দুই বন্ধু আর একজন অচেনা পুরুষ অ্যাসিড ছুড়ে মারে লক্ষ্মী আগারওয়ালের দিকে। কারণ তিনি বিয়ে করতে রাজি হননি। এরপর থেকে জ্বালা যন্ত্রণার প্রাচীর পেরিয়ে জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসেন লক্ষী। হিংসার পাশাপাশি অ্যাসিড বিক্রির বিরুদ্ধে শুরু করেন প্রতিবাদ। এই লক্ষ্যে তিনি একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন ‘স্টপ সেল অ্যাসিড’। লক্ষ্মী আগরওয়ালকে ২০১৪ সালে মিশেল ওবামা আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করেছিলেন।
নৃশংসতা, অত্যাচার, সমাজের কঠিন বাস্তব, বন্ধুর চক্রান্তর পাশাপাশি নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে ছবির গল্পে।