"একটা পচা মাছ গোটা পুকুরটাকেই নোংরা করে দিতে পারে..। সেটা যাতে না হয় তার জন্য সেই মাছটিকে ধরে ফেলে বাদ দেওয়া হয়…" , মন্তব্য মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty)।
কার উদ্দেশে এমন ইঙ্গিতমূলক কথা বললেন অভিনেত্রী? সেটা অবশ্য পরিষ্কার করে বলেননি মিমি। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল… পরপর তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারি নিয়ে যেভাবে তুমুল শোরগোল রাজনৈতিক মহলে, ঘাসফুল শিবিরের দিকে চোখ পাকিয়েছে বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি গোটা দলটাই দুর্নীতিগ্রস্থ? সেই প্রেক্ষিতেই কি এমন মন্তব্য মিমি চক্রবর্তীর?
তাছাড়া, প্রায় নিত্যদিন যেভাবে তৃণমূলের নেতা-সদস্যদের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, সেই প্রেক্ষিতে দলের বাকিদের ওপর তার কতটা প্রভাব পড়ছে? এতে কি তাঁদেরও ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে? সম্প্রতি এমনই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল শাসকদলের সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে।
<আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডে ‘ফার্স্টক্লাস, ডিসটিংশন’! আদতেও কৌশিক-চূর্ণীর ‘লক্ষ্মী ছেলে’ উজান>
কী বললেন নায়িকা? এপ্রসঙ্গে পাল্টা মিমির মন্তব্য, "আমি কোনও দুর্নীতি করিনি। আমার গায়ে দাগ লাগবে কেন?" এখানেই অবশ্য থামেননি তিনি। সাংসদ নায়িকা এও উল্লেখ করেন যে, তাঁর সঙ্গে পরোক্ষভাবেও দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এক সংবাদমাধ্যম চ্যানেলের বিশেষ অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন মিমি।
সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানেই দলের আরেক সদস্য শ্রীকান্ত মাহাতোর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে পাল্টা কথা বলেন মিমি চক্রবর্তী। অভিনেত্রী বলেন, "মন্ত্রী নাহলে ওর নামে আমি মানহানির মামলা করতাম।" প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, "মিমি, নুসরত, জুনরা দলকেই এঁরাই লুটেপুটে খাচ্ছে..।" যদিও এই মন্তব্যের পর নুসরত, জুনরা মুখ খুলেছিলেন। শ্রীকান্ত নিজেও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তবে বিতর্কের রেশ এখনও কাটেনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন