Tolly actress at Hills: ঠাণ্ডা পড়েছে জাঁকিয়ে। গত দুদিন, ধরে বঙ্গে রীতিমতো কাঁপছেন মানুষ। জানা গিয়েছিল, ঠান্ডা পড়বে। আর যে বাঙালি এতদিন বেশ আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছিল যে ঠান্ডা একেবারেই নেই, এবার তাঁর মাঘের আগেই পৌষের শীতে নাজেহাল অবস্থা। একই অবস্থা তারকাদের। অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ( Mimi Chakraborty ) ঠিক একই পথের পথিক।
নতুন বছরের আগেই তিনি পাড়ি দিয়েছেন, বাড়ির উদ্দেশ্যে। জলপাইগুড়িতে পরিবারের সকলের সঙ্গে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন তিনি। দেখা গিয়েছিল, শীতের রাতে আগুন পোহাতে। আর আজ যখন দক্ষিণ বঙ্গে, এত ঠান্ডা, উত্তরবঙ্গে যে শীত গায়ে কাঁটা দেবেই, সেকথা পরিষ্কার। কিন্তু, ভয়ঙ্কর ঠান্ডাতে বাড়িতে বসে থাকবেন তিনি? এও ভাবা ঠিক না। মিমি তাঁর নিজের মতো করেই থাকতে ভালবাসেন। আর ঠান্ডা তো আসবেই, তাই বলে বাড়িতে থাকবেন?
আরও পড়ুন - Rukmini Maitra: আমিই সেই ভাগ্যবান, যে প্রতিদিন সকালে উনাকে জড়িয়ে ধরত: রুক্মিণী মৈত্র
মাথা গলা মুড়িয়ে, মিমি চক্রবর্তী গেলেন চায়ের বাগানে। ঠাণ্ডায় জুবুথুবু অভিনেত্রী চা খেতে গেলেন। কিন্তু, চা খাওয়ার নামে তাই বলে সোজা বাগানে চলে যাবেন? চা পাতা তুলে, দিব্যি নেচে গেয়ে বেড়ালেন। তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিও তুললেন। শীতের ভোরে চায়ের, কাপে চুমুক দিতে কার না ভাল লাগে? মিমি যে সত্যিই চা প্রেমী, সেকথা প্রমাণিত। নাহলে এই ঠান্ডায় কেউ ভোরবেলা চায়ের বাগানে গিয়ে হাসিমুখে ছবি তোলেন। একটি ভিডিও তিনি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা গেল, "খুব ঠাণ্ডা ভাই।"
আর যে পোস্ট তিনি সমাজ মাধ্যমে করেছেন, সেখানে অভিনেত্রী নিজের কাণ্ডে নিজেই হেসে খুন। তিনি লিখছেন, "ভয়ঙ্কর ঠান্ডাতে চায়ের দোকানে আসছি।" এটুকু বলেই হাসতে শুরু করলেন। আর তাঁর এই পোস্টে ভক্তরা বেশ কিছু উপদেশ দিয়েছেন তাঁকে। এত শীত যখন তখন রাস্তায় কেন বেরোলেন তিনি, এমনটাও জানতে চেয়েছেন। কেউ কেউ তো এমনও বললেন...
"বাড়িতে চা খাওয়া যায় না।" আবার, কেউ কেউ এমনও বললেন, আরও কয়েকটা চা পাতা তুলতে পারতেন। আমি থাকলে আপনাকে সাহায্য করে দিতাম। আবার কেউ বললেন, চায়ের বাগানে আপনি। আর সেই দৃশ্য দেখে আমার মনে হিল্লোল উঠে গেল। উল্লেখ্য, গতবছর মিমি চক্রবর্তীর ছবি আলাপ রিলিজ করেছিল বড়পর্দায়। সেবছর শুরুতেই তাঁকে দেখে গিয়েছিল, ওয়েব সিরিজে ডেবিউ করতে। আর এবার আসছে ডাইনি। অভিনেত্রীকে নতুন ভাবে আবার সকলে পেতে চলেছেন সেকথা পরিষ্কার।