স্বাধীনতা দিবসে বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) ধর্ষকরা জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। যা নিয়ে উত্তাল দেশ। বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখোমুখি মোদী সরকার। কীসের ভিত্তিতে ওই ১১জন ধর্ষককে মুক্তি দেওয়া হল? প্রশ্ন তুললেন টলিপাড়ার দুই তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে বিলকিস বানো গণধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তদের স্বাধীনতা দিবসের দিন মুক্তি দেয় বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাত। গোধরা কাণ্ডের পর বিলকিস বানোর পরিবারের ৭ জন সদস্যকে হত্যা এবং গর্ভবতী বিলকিসকে গণধর্ষণের জন্য ওই ১১ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। যার ভিত্তিতে ঘৃণ্য অপরাধের দায়ে অপরাধীদের যাবজ্জীবন সাজা হয়। কিন্তু সোমবার ১৫ আগস্ট এহেন অপরাধীদেরই জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়, গুজরাত সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই নরেন্দ্র মোদীকে চরম কটাক্ষ করলেন মিমি-নুসরতরা।
দুই নায়িকা সাংসদের প্রশ্ন, "দেশে নারীদের সুরক্ষা কোথায়?" স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় মোদীর বক্তৃতা প্রসঙ্গ টেনে মিমির প্রশ্ন, "কীসের ভিত্তিতে বিসকিসের ১১ জন গণধর্ষককে মুক্তি দেওয়া হল? তাহলে ১৫ আগস্টের লম্বা বক্তৃতাটার কী হল! আপনি-ই তো নারীদের শ্রদ্ধা বললেন, তাই না? একজন মহিলা হিসেবেই আজ এই কথাটা বলছি। আমি বাকরুদ্ধ এবং আমার মন ভেঙে গিয়েছে।"
বিলকিস-ধর্ষকরা মুক্তি পাওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বসিরহাটের সাংসদ তথা টলিউড নায়িকা নুসরত জাহানও। তাঁর কথায়, "এই অন্যায় শেষ কবে হবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছি। আমিও অপেক্ষায়। বলিসকিস বানো-ও অপেক্ষা করছে। ন্যায়বিচার সততার প্রতীক। এবং আরেকটা সত্যি কথা হল, ওই ১১জন গণধর্ষক ও খুনীদের মুক্তি দিয়ে মিষ্টি বিলানো হচ্ছে।"
<আরও পড়ুন: ‘মহিলা-পেটানো লোক! সলমনকে পুজো করা বন্ধ করুন’, বিস্ফোরক প্রাক্তন প্রেমিকা>
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে বিলকিস-গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের ৮ সদস্যদের খুনের অভিযোগে দু-বছর বাদে ২০০৪ সালে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশে অপরাধীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। কিন্তু এই স্বাধীনতা দিবসে তাদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সভ্যসমাজ। বিলকিসের জন্য আওয়াজ তুললেন মিমি-নুসরতরাও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন