“কেকে… কেকে.. হু ইজ কেকে, ম্যান?", এই প্রশ্নটা ছুঁড়েই ভয়ঙ্কর বিপাকে পড়েছেন রূপঙ্কর বাগচি (Rupankar Bagchi)। বিতর্কুত সেই ভিডিওর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুম্বইয়ের জনপ্রিয় শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথের আকস্মিকপ্রয়াণ (KK Death)। তারপর থেকেই নেটদুনিয়ায় সমালোচনা। বিতর্কের ঝড়। এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়াতেও ট্রেন্ডিং রূপঙ্কর। নেটদুনিয়ায় কটাক্ষ, কটুক্তি ভরা মন্তব্যের ছয়লাপ। শিল্পী হিসেবে তাঁর নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিনোদনমহলের একাংশ তো বটেই, এমনকী নেটিজেনরাও। এমতাবস্থায়, রূপঙ্করের গাওয়া গান, পুরনো ভিডিও সবই কেচ্ছা-আলোচনার শীর্ষে।
Advertisment
যে সমস্ত ব্র্যান্ডের জন্য তিনি জিঙ্গলস গেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মিও আমোরে। যে কোনও অনুষ্ঠানে গাইতে গেলেই রূপঙ্করের কণ্ঠে শোনা যেত সেই গান। তবে কেকে-র মৃত্যুর পর সেই গান নিয়েও হাসি-খিল্লির জোয়ার! শুধু তাই নয়, নেটিজেনরা সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেও শিখণ্ডীতে দাঁড় করিয়েছেন। অনেকেই আবার মিও আমোরের কাছে দাবি জানিয়েছেন, রূপঙ্কর বাগচির গান যেন তাঁরা সরিয়ে নেন। শুধু তাই নয়, সংস্থাকে হুমকি দিয়ে নেটদুনিয়ার একাংশের দাবি, "আপনারা রূপঙ্করের গাওয়া জিঙ্গলস সরিয়ে নিন, নইলে ক্রেতারা অন্য কোনও বেকারি খুঁজে নেবে..।"
সেই প্রেক্ষিতেই জনৈক নেটিজেনের পোস্টে, মিও আমোরের পেজ থেকে কমেন্ট করে জানানো হয় যে, "গায়ক রূপঙ্কর বাগচির মন্তব্যে আমরা দুঃখিত। মিও আমোরে (Mio Amore) কোনওভাবেই এমন মন্তব্যকে সমর্থন করে না এবং যা কিছু রূপঙ্কর বলেছেন, তাঁর সঙ্গে আমরা জড়িত নই। ক্রেতাদের ভাবাবেগে যাতে আঘাত না লাগে, তার জন্য আমরা সময়মতো রূপঙ্করের গাওয়া জিঙ্গলসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন।"
Advertisment
জনৈক নেটাগরিকের পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের তরফে জানানো হয়, "আমরা এই বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। তবে রূপঙ্কর বাগচির গাওয়া জিঙ্গলস থাকবে কিনা, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানাইনি।"
প্রসঙ্গত, রূপঙ্করের ভিডিও পোস্টের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেকে-র আকস্মিক প্রয়াণেই (Singer KK death in Kolkata) এত বিতর্কের ঝড়। শুধু তাই নয়, বুধবার খুনের হুমকি পেয়ে সস্ত্রীক টালা থানায় ছুটেও গিয়েছিলেন রূপঙ্কর বাগচি। মাঝখানে বিতর্কে পড়ে যায় মিও আমোরে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন