উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পৃথক রাজ্যের দাবিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে। পাল্টা উত্তরবঙ্গে গিয়ে তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। রাজ্যভাগের দাবিতে বন্দুক দেখালে বন্দুক ভোঁতা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যেই সঙ্গীতশিল্পী জোজোর ফেসবুক পোস্ট নতুন করে গোর্খাল্যান্ড ইস্যু উস্কে দিয়েছে ফেসবুকে।
Advertisment
সামনেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন রয়েছে। পাহাড়ের রাজনীতি এখন সরগরম। মমতাও উত্তরবঙ্গে। দীর্ঘদিনের দাবিদার বিমল গুরুংরা জিটিএ ভোটের বিরোধিতা করলেও পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে সরে এসেছেন। অথচ সমতল থেকে পাহাড়ে গিয়ে কি না জোজো গোর্খাল্যান্ড ইস্যু উস্কে দিলেন। যা নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
বর্তমানে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছেন জোজো মুখোপাধ্যায়। বাঙালি তথা হিন্দি সঙ্গীত জগতেও তিনি মিস জোজো নামেই পরিচিত। অজস্র হিট গান রয়েছে তাঁর কণ্ঠে। সপরিবারে বেড়াতে গিয়ে রিশপের ছবি তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করেন। আর তাতেই বাধে গোল। লোকেশনে লেখা রয়েছে, রিশপ, গোর্খাল্যান্ড, ইন্ডিয়া।
ব্য়স! তাতেই বিতর্কের শুরু। চেক ইন প্লেস গোর্খাল্যান্ড দেখেই নেটিজেনরা তাঁর পোস্টে রে রে করে উঠেছেন। কমেন্ট বক্সে তাঁদের প্রশ্ন আসতে শুরু করে। একজন লিখেছেন, "এই গোর্খাল্যান্ডটা কোথায়? বাংলায় গোর্খাল্যান্ড কবে হলো? এখনই ডিলিট করুন। নাহলে আপনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ হবে। কী ভাবেন আপনারা নিজেদের? যা খুশি তাই?"
এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই সংবাদমাধ্যম তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি বলেন, "এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। ফেসবুকে লোকেশন ট্যাগ করতে গিয়ে নিজে থেকেই গোর্খাল্যান্ড নিয়ে নিয়েছে। ফেসবুক-গুগলের উপর আমার কিছু করার নেই। আমি কোনও বিতর্ক করতে চাই না।" পরে তিনি নিজের ছবি থেকে লোকেশন ট্যাগ সরিয়ে নেন।