‘প্রজাপতি’ সিনেমা নিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহলে কম চাপানোতর হয়নি। এক সিনেমায় দুই বিপরীত রাজনৈতিক শিবিরের সদস্য তথা অভিনেতাকে দেখে বেজায় কথাও হয়েছে। তবে সমস্ত বিতর্ককে ছাপিয়ে রায় দিয়েছেন দর্শকরাই। সিনেমার সাকসেস পার্টিতে আবারও এপ্রসঙ্গে মুখ খুললেন মিঠুন চক্রবর্তী ও দেব।
রাজ্যের শাসকদলের সাংসদ-অভিনেতার সিনেমাই কিনা নন্দনে ব্রাত্য? এপ্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে। দেব উত্তরও দিয়েছেন। এবার সাফল্যের সঙ্গে ‘প্রজাপতি’ ২৫ দিনের মাইলস্টোন ছুঁতেই সংবাদমাধ্যমকে দেব জানান, "মানুষই যোগ্য জবাব দিয়ে দিয়েছে। আমি চেয়েছিলাম বেশি সংখ্যক মানুষেরা হলে গিয়ে এই সিনেমা দেখুন। তাই চেয়েছিলাম নন্দনে আসুক। আর আমি খুব পজিটিভ ভাবনায় বিশ্বাসী। নন্দনে স্লট না পেলেও অন্যান্য হলে তো হাউজফুল হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, রাজনীতির জন্য মানুষ নন, মানুষের জন্যই রাজনীতি… বারবার একথা বলে এসেছেন সাংসদ-অভিনেতা দেব। কারণ, সিনেমার জন্য দর্শকদের ভালবাসাতেই আজ তিনি সুপারস্টার দেব। এই ছবি নন্দনে শো না পাওয়া নিয়ে সম্প্রতি মারাত্মক বিতর্ক হয়। যাবতীয় বিতর্ককে ছাপিয়ে বাংলা সিনেমার ইতিহাসে রেকর্ড গড়ে দেব-মিঠুন অভিনীত ‘প্রজাপতি’। ১ দিনে ১ কোটি টাকা কামানোর রেকর্ডও রয়েছে এই ছবির ঝুলিতে। এবার ২৫ সদিনের সাকসেস পার্টিতে খোশমেজাজেই ধুয়ে দিলেন সমালোচকদের।
<আরও পড়ুন: রাজের সিরিজে পুলিশের উর্দিতে ‘মমতার মন্ত্রী’, রয়েছেন জোড়াফুলের ২ নেত্রীও, প্রযোজক শুভশ্রী>
সংবাদমাধ্যমের কাছে মিঠুন বলেন, "নন্দনের কমিটিতে কারা কারা রয়েছেন, তাঁদের নাম জানতে চাই। তাঁদের নাম নিশ্চয় কোথাও স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। আমার কাছে পূরবী, বিজলী, নবীনা সব প্রেক্ষাগৃহই নন্দনের মতো। এদের হাত ধরেই বড় হয়েছি।"
এরপর কুণাল ঘোষের এলিতেলি গঙ্গারাম প্রসঙ্গে মিঠুন জানান, "আসলে উনি তো এখন ওই পার্টির শেষকথা! দেবকে ভয় পাওয়াতে চেয়েছিলেন। দেব ভয় পায়নি। মানুষই জবাবা দিয়েছে। যাঁরা ভেবেছিলেন সিনেমাটা পরে দেখবেন, তাঁরা পয়লা সপ্তাহেই দেখে এসেছেন। আর মানুষ যখন জবাব দেয়, এটা কিন্তু অশনিসংকেত।"
তিনি মেগাস্টার। মিঠুন চক্রবর্তী মানেই বক্সঅফিসে ছোবল! আর সুপারহিট সংলাপ। বিনোদুনিয়ার পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানেও ‘মিঠুনদা’ এখন ঝোড়ো ব্যাটিং করছেন। বাংলায় মোদীর এই ‘স্টার-সেনাপতি’কে নিয়ে মাথাব্যথারও অন্ত নেই। প্রজাপতি রিলিজের পর থেকেঅ রোজ তিনি শিরোনামে। সম্প্রতি বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতার শিরোপাও জিতেছেন মিঠুন।