Mithun Chakraborty Stories: মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মিমোকে সম্প্রতি নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার শো খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টারে দেখা গেছে। ওটিটিতে তার অভিনয় দেখে অনেকেই মুগ্ধ। মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন অভিনেতা। মিমো সম্প্রতি অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গেছেন তা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাবাও যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন।
মিমো বলিউডের ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে। তাঁকেও নাকি পরিচালকরা পাত্তাই দেননি। মিমো যখন পরিচালকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বাবার সাহায্য চেয়েছিলেন, তখন প্রথম দিকের দিনগুলোর কথা স্মরণ করে খাকি অভিনেতা বলেন, "একটা সময় ছিল যখন মানুষ বাবার কথাও শুনত না, কারণ আমার জন্য বাবা ফোন করতেন তাঁদের। আজ আমি এই ইন্ডাস্ট্রির অংশ। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে দুটি জিনিস খুবই বাস্তব - একটি হল এটি খুবই পেশাদার, এবং এর কারণে, আপনি আবেগ বা বাধ্যবাধকতা মিশিয়ে ফেলতে পারবেন না। দুই, যদি আপনি তাদের মতো চলেন, তাঁদের সঙ্গে একভাবে চলেন, তাহলে তারা আপনার পাশে থাকবে। খাঁকিতে সুযোগ পেয়েছিলাম বলেই আমি এখানে বসে বলতে পারি না যে সবাই ভালো। যদিও, তখন আমি অনেক কিছু বুঝতে পারতাম না, আমার মনে হত যে আমার কথা না শোনো, অন্তত বাবার কথা তো শোনো। আমার জীবনে কিছুই ঠিকঠাক চলেনি।"
আরও পড়ুন - Rahul Banerjee on Thakurpukur Accident: 'সামান্য নাগরিক ধারণা নেই একজন মাতালের স্টিয়ারিং এ', ভয়ঙ্কর ক্ষুব্ধ রাহুল...
কিন্তু, নেজটিভিটি তাঁকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। বরং তিনি নতুন উদ্যমে আবারও জেগে উঠেছেন। তবে, সমস্যার মধ্যেও পড়েছেন। কতবার যে তাঁকে ধোঁকা খেতে হয়েছে। অভিনেতার কথায়, "যখনই কোনও নেতিবাচক ঘটনা ঘটত, তখন আশার আলোও দেখা যেত। কাস্টিং ডিরেক্টররা আমাকে টিভি শোয়ের জন্য অডিশনের জন্য ডাকতেন, এবং কিছুদিন পর তারা নিখোঁজ, কোথায় যে হারিয়ে যেত, আমি কোনও মাথামুন্ডু খুঁজে পেতাম না। তারপর আবার কয়েক মাস পরে, কাজের প্রস্তাব আসত। যখনই আমি অনুভব করতাম যে হচ্ছে না, কিছু ঠিক নেই। তখনই কিছু এমন একটা গত যা আমাকে ঠেলে দিত নতুন দিকে।
আগের এক সাক্ষাৎকারে মিমো বলেছিলেন যে, এত বছর ধরে তাকে সাহায্য করেছেন কেবল দুজন ব্যক্তি, তাঁরা হলেন করণ জোহর এবং সালমান খান। যে করণের নামে এত অভিযোগ, সেই করণ নাকি তাঁকে সাহায্য করতেন? তিনি বলেছিলেন, "সলমন ভাই এবং করণ জোহর, তারাই একমাত্র দুজন যারা আমাকে আসলে সাহায্য করেছেন। ভাই বাবাকে অনেক ভালোবাসেন, এবং যখনই আমি জিজ্ঞাসা করি যে তার সাথে দেখা করতে পারি কিনা, তিনি বলেন, 'চলে আয়'। আমি তার সাথে বসে অনেক গল্প করি। আমাকে অনেক ভালো পরামর্শ দেন উনি। করণ জোহর আমাকে এবং আমার ভাই নামাশিকে সাহায্য করেছেন। আমাকে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, অনেক সংস্থার সাথে আমার যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন।"