/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/04/asha-2025-09-04-13-37-51.jpg)
লতা-আশাকে নিয়ে যা তা বললেন রফি পুত্র
বলিউডের কিংবদন্তি গায়ক মোহাম্মদ রফি তাঁর সঙ্গীত জীবনে কখনও কাজের জন্য কারও কাছে হাত পাতেন নি। অথচ, তাঁর সহকর্মীরা অনেক সময় তাঁকে বিপথে নিতেও চেয়েছিলেন। রফির ছেলে শহীদ রফি সম্প্রতি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বলেছেন, লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে ঈর্ষা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে ইচ্ছে করেই রফির ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, তাঁর বাবার সঙ্গে কিশোর কুমারের কোনও পেশাদার ঈর্ষা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না।
সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শহীদ জানান- "আমার বাবার অন্য পুরুষ গায়কদের সঙ্গে কোনো সমস্যা ছিল না, কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা ছিল। তাঁরা ঈর্ষা করতেন তাঁর সঙ্গে, কারণ রফি সাহেব তাঁদের উপরে ছিলেন। মানুষ তাঁকে এক নম্বর গায়ক বলছিল, আর এটা তাঁরা মেনে নিতে পারছিলেন না।" শহীদের দাবি, ১৯৭০-এর দশকে রফির সংক্ষিপ্ত বিরতি মোটেই হতাশা বা অন্য কারও কারণে নয়, বরং এক ধর্মযাজক তাঁকে গানের জন্য পাপী বলার পর স্বেচ্ছায় তিনি কিছুদিন দূরে সরে ছিলেন। পরে আবার গান গাওয়া শুরু করেন।
Sarika: বিয়ের আগেই ২ সন্তানের জন্ম, ২১-এ বাড়ি থেকে বিতাড়িত এই অভিনেত্রী, সুপারস্টারের সঙ্গে সম্পর্ক সব শেষ করে দেয়?
আশা ভোঁসলেকে সরাসরি আক্রমণ করে শহীদ বলেন- "আমার একটুও লজ্জা নেই, ওঁদের সামনে এই কথা বলতে। লতাজির মৃত্যুর আগে থেকেই আমি এসব বলেছি। লতা বলেছিলেন, তাঁর ক্যারিয়ার এগোচ্ছে আর বাবাকে ক্ষমা করতে বলেছেন- কিন্তু কোনোদিন খোলাখুলি স্বীকার করেননি। তখন নতুন নতুন গায়িকারা উঠে আসছিলেন, যার মধ্যে তাঁর বোনও ছিলেন। লতাজি হীনমন্যতায় ভুগতেন।"
তিনি আরও জানান, লতা মঙ্গেশকর গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সম্মাননার সময়ও ‘হস্তক্ষেপ’ করেছিলেন। শহীদের ভাষায়- "শেষ মুহূর্তে লতা সম্মানটা গ্রহণ করেন, আর বাবা সেটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। কিন্তু এই ঘটনাটা আমাকে এখনো কষ্ট দেয়।" আশা ভোঁসলের রফি সম্পর্কিত এক মন্তব্যের জবাবে তিনি কড়া ভাষায় বলেন- "তুমি শিক্ষিত মানুষ, লজ্জা করে না! এই বয়সে এমন কথা মানায় না। আমি সহ্য করতে পারি না, কেউ আমার বাবাকে নিয়ে খারাপ কিছু বলুক। ঈশ্বর সব দেখছেন।"
সাক্ষাৎকারে শহীদ জানান, রফি ও লতা মঙ্গেশকর একসময় নার্গিস ও জয়কিশনের মধ্যস্থতায় মিলিত হলেও তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক আর কখনও ঠিক হয়নি। যদিও তাঁরা একসঙ্গে একটি মঞ্চে পারফর্ম করেছিলেন। ১৯৬৭ সালে পদ্মশ্রী প্রাপ্ত মহম্মদ রফি ১৯৮০ সালে মাত্র ৫৫ বছর বয়সে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেন।