Bangla Band Story: সংগীতের এক অন্যতম পর্যায় হলো বাংলা ব্যান্ড। যদি আবার বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু বাংলা ব্যান্ডের বাইরে নতুন কাউকে এর মূল স্রোতে গা ভেজাতে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু কলকাতা থেকে শুরু হয়েছিল, ভারতীয় ব্যান্ডের যাত্রা। এ বাংলা অনেক কিছুই দিয়েছে গোটা ভারতবর্ষকে। বাংলা ব্যান্ডেরও সূচনা হয়েছিল এখান থেকে। সারা ভারতের বেশিরভাগ মানুষের কেউ বলতেই পারবেন না যে ব্যান্ডের সূচনা আদৌ কোথা থেকে হয়েছিল। বছর আগে গৌতম চট্টোপাধ্যায় নামে এক শিল্পীর হাত ধরে শুরু এই পথচলা।
মহীনের ঘোড়াগুলি, সংগীত প্রেমী মানুষদের কাছে এক আবেগের নাম। যারা রক মিউজিক শোনেন কিংবা বাংলা ব্যান্ডের গান শুনতে ভালোবাসেন মহীনের ঘোড়াগুলি তারা শোনেন নি এটা হতেই পারে না। কিন্তু মহীনের ঘোড়াগুলি ডিসব্যান্ড হওয়ার নেপথ্যে বেশ কিছু কারণ ছিল। এবং, খেয়াল করলে দেখা যাবে, সেই কারণগুলো কেউ জানেন না। কিভাবে শুরু হয়েছিল এর পথচলা?
Ramayana: পর্দার রামকে 'দশরথ' হিসেবে মানতে পারবেন না, অরুণকে নিয়ে ব…
মহীনের ঘোড়াগুলি বাংলার রক সংগীত বাড়ানোর জন্য জনপ্রিয় ছিল। এবং সেই সময় বাংলার মানুষ যথেষ্ট ভালোবেসে ছিলই মিউজিককে। লিড ভোকালিস্ট গৌতম চট্টোপাধ্যায়, ছিলেন মহিনের ঘোড়াগুলির দায়িত্বে। খেয়াল করলে দেখা যাবে তৎকালীন সময় বলিউড মিউজিকের চাপে চিড়ে চ্যাপ্টা ছিল অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির মিউজিক। নিজেদের সময়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল মহীনের ঘোড়াগুলি। সাধারণত সেই ধরনের সংগীত বানাতেন, যার মধ্যে যেমন মাটির ছোঁয়া ছিল, সেরকমই রক মিউজিকের টাচ পর্যন্ত ছিল। প্রত্যেকটা ব্যান্ডের একটা করে মোটো থাকে।
ব্যান্ড মিউজিক যখন বানানো হয়, তখন তার নেপথ্যে প্রথম, সেগুলো শুধু গান হয় না বরং তাতে থাকে সোশ্যাল মেসেজে এবং এছাড়াও তাতে থাকে কিছু জানানোর ইচ্ছে। গ্রাম বাংলার জীবন ছাড়া তাদের গানে রাজনীতি, সামাজিক সমস্যা থেকে শুরু করে, নানা ধরনের বিষয়কে মাথায় রেখে বানানো শুরু হয়। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সালের মধ্যেখানে, প্রায় তিনটি অ্যালবাম তারা রিলিজ করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় ব্যান্ডের সফলতা পাওয়া ছিল আকাশছোঁয়া স্বপ্ন। সে কারণেই মহীনের ঘোড়াগুলি খুব একটা সাফল্য পায়নি। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মের কাছে, এই ব্যান্ড আইকনিক হয়ে ওঠে।
এবং, পরবর্তীতে গৌতম চট্টোপাধ্যায় নিজেই ১৯৯০ সালে ব্যান্ডের কম্পাইলেশন অ্যালবাম রিলিজ করতে শুরু করেন। তার আগে যদিও বা এই ব্যান্ড ডিসব্র্যান্ড হয়ে গিয়েছিল। এই ব্যান্ড সংগীতকে অনেক কিছু দিয়েছে, কিন্তু তারপরও ভারতের বহু মানুষের কাছে এই ব্যান্ডের নাম অজানা।