বাংলা সঙ্গীত জগতে নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন মহীনের আরও একটি ঘোড়া রঞ্জন ঘোষাল। বৃহস্পতিবার চিরঘুমে চলে গেলেন তিনি। ২০২০ তে বিনোদন জগতের মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বেঙ্গালুরুতে নিজ বাসভবনেই ঘুমের মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী।মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
বাংলা ব্যান্ডের পথ শুরু হয় মহীনের ঘোড়াগুলির হাত ধরেই। সেই দলের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। সেই বেপরোয়া, বর্ণময় মানুষটি চলে গেলেন বর্ণহীনভাবেই। বর্ধমানের মেমারির পথ পেরিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক, পরবর্তীতে মুম্বইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেছিলেন রঞ্জন।
আরও পড়ুন, প্রয়াত বলিউডের ‘সুরমা ভোপালি’, অভিনেতা জগদীপ
তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষাল ও দুই পুত্রকে। ১৯৭৪ সালে গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ব্যান্ডের সদস্য ‘ভেসে আসে কলকাতা’, ‘সংবিগ্ন পাখিকুল’, ‘মেরুন সন্ধ্যালোক’র মতো গান লিখেছেন। মহীনের ঘোড়াগুলির প্রথমে নাম ছিল সপ্তর্ষি। রঞ্জন ঘোষাল ছাড়াও ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন তপেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস দাস, আব্রাহাম মজুমদার, বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় ও প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়।
গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে মিটু-র অভিযোগও ওঠে। নিজের ছাত্রীকে সোশাল মাধ্যমে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে হইচই পড়ে যায়। কিছুদিন পর ফেসবুকেই ক্ষমা প্রাথর্না করে পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। শোনা যায় তারপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। গত আটমাস নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন সোশাল মাধ্যম থেকেও। এদিন নীরবেই দিকশূন্যপুরের দিকে পাড়ি দিলেন রঞ্জন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন