বলিউডের নেপোটিজম, স্বজনপোষণ নিয়ে এবার সঙ্গীতশিল্পী সোনু নিগমের পাশে দাঁড়ালেন মোনালি ঠাকুর। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউড সরগরম নেপোটিজম নিয়ে। সোনুর মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়েই আগুনে ঘি ঢাললেন মোনালি। বাংলার এই গায়িকা বললেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চেয়েও বড় বড় মাফিয়ারা থাকেন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে। সোনুর ভিডিও দেখার পর ইন্ডাস্ট্রির সত্যিকে সামনে নিয়ে আসার জন্য তাঁকে মেসেজ করে ধন্যবাদও জানিয়েছেন মোনালি।
সংবাদমাধ্যম বলিউড স্পাইকে একটি সাক্ষাৎকারে গায়িকা বলেন, "আমি ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ। উনি আমার সিনিয়র। বহু বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন। ওঁর নাম এবং সঙ্গীত এই ইন্ডাস্ট্রিতে আইকন হিসেবে আছে। আর এটা সত্যি যে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে মাফিয়াগিরি হয়। অনেকেই তাঁদের বকেয়া পান না। আর সেই কারণে সঙ্গীতজগতের এই পরিবেশ আমার ভালো লাগে না। আমি ছবির জন্য গান গাইতে চাওয়াও ছেড়ে দিয়েছি। আমি আলাদা হয়ে চলে এসেছি কারণ আমি আমার মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চাই।"
আরও পড়ুন, কাস্টিং-এ কোনওদিন হস্তক্ষেপ করেননি প্রসেনজিৎ, ‘অন্নদাতা’ প্রসঙ্গে শ্রীলেখাকে বিঁধলেন ধানুকা
মোনালি এও বলেন যে এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিভাবান শিল্পীদের পিঁপড়ের মতো পিষে মেরে ফেলা হয়। 'মোহ মোহ কে ধাগে'-খ্যাত গায়িকা বলেন, "ওদের কিছু যায় আসে না। পিঁপড়ের মতো ওরা আপনাকে মেরে দেবে। যারা মধ্যমেধার হয়, তাদেরকে প্রমোট করে যাবে। তবে আমি সত্যি বলছি, তাদেরকে বাঁচানোর জন্য আমাদের কিছুই করার থাকে না।"
সম্প্রতি একটি ভিডিওতে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে উদ্দেশ্য করে সোনু নিগম বলেছিলেন, "প্রযোজক, পরিচালক এবং মিউজিক কম্পোজাররা নতুন ট্যালেন্ট নিয়ে কাজ করতে চান, কিন্তু যখনই কোনও মিউজিক কোম্পানির জোট বাঁধা হয়, সেটা আর সম্ভব হয় না। সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে দুটো কোম্পানি এবং দুজন মানুষ। তারাই ঠিক করে, কে গাইবে আর কে নয়।” সোনুর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মোনালির বক্তব্য, "উনি যথেষ্ট নম্রভাবে বলেছেন। আসল পরিস্থিতি এর চেয়েও খারাপ।" তিনি এও বলেন যে সঙ্গীতশিল্পীরা তাঁদের প্রাপ্য কিংবা বকেয়া টাকাও ঠিকমতো পান না।
আরও পড়ুন, প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পীদের পিষে মেরে ফেলা হয়, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মোনালি
শক্তি ঠাকুরের কন্যার কথায়, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজম না হলেও 'গুন্ডাগিরি' চলে। মোনালি বলেন, "যদি আপনি কোনও নামকরা কারোর সঙ্গে চুক্তি করার সময় নিজের আয়ের ৮০ শতাংশ টাকা ছেড়ে রেখে চুক্তি করতে রাজি থাকেন, তবেই আপনি কাজ পাবেন? এটা কেন হবে? এটা তো অস্বাস্থ্যকর।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন