বৃহস্পতিবার বম্বে আদালতের দারস্থ হলেন অভিনেত্রী মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়। শয্যাশায়ী মেয়ের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব চাইলেন তিনি। জামাই যাতে মেয়েকে দেখতে দেয় সেই আর্জি নিয়েই আদালতে মৌসুমি ও তাঁর স্বামী। সিনিয়র আইনজীবী বেনি বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনেত্রীর হয়ে বিচারপতি বি পি ধর্মাধিকারি ও এস ভি কোতওয়ালের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন। শনিবার শুনানির আদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের জামাই ডিকি মেহতাকেও পিটিশনের উত্তর দিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
অভিনেত্রীর পিটিশন অনুযায়ী, ২০১০ সালে বিয়ে হয় ডিকি ও তাঁর মেয়ে পায়েলের। পায়েল বিয়ের আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন (জুভেনাইল ডায়বেটিস)। গতবছর হাসাপাতালেও ভর্তি করতে হয় পায়েলকে। এমতবস্থায় তার পরিবার ও মা যাতে মেয়ের দেখাশোনা করতে পারেন সেই আর্জিই জানিয়েছেন আদালতে।
আরও পড়ুন, আর্থিক তছরুপের অভিযোগে অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত
পিটিশনে বলা আছে, কিছুদিন আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান পায়েল। কিন্তু বাড়িতে ফিরে শুশ্রুষা ও ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাবার না পেয়ে তিনি প্রায় কোমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন। অভিনেত্রী এও অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তিনি বা তার পরিবারের কাওকেই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়না।
জানা যায়, ২০১৬ সালে জয়ন্ত ও মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরে ডিকি সাহার। কারণটা ব্যবসা। ২০১৭ সালে পায়েলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে কিন্তু হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসার পর মেয়ের কোনও রকম দেখভাল হচ্ছে না বলেই দাবি অভিনেত্রীর।
Read the full story in English