Moushumi Chatterjee On Bollywood: বাংলা সহ বলিউডের একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত যশ-নুসরত প্রযোজিত ও অভিনীত আড়ি-তে অভিনয় করে ফের লাইমলাইটে অভিনেত্রী। বয়স তাঁর কাছে যেন সংখ্যামাত্র। জেন জি-র সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে শুটিং ফ্লোরে মাত দিয়েছেন মৌসুমী। বিশিষ্ট অভিনেত্রী প্রাণ খুলে সকলের সঙ্গে কথা বলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মৌসুমী অতীতের একটি ঘটনার কথা শেয়ার করেন। যখন তাঁকে অমিতাভ বচ্চনের একটি ছবি থেকে সরিয়ে সেখানে রাখি গুলজারকে নেওয়া হয়।
১৯৭০ সালে মৌসুমী-অমিতাভ Roti Kapda Aur Makaan, Benaam ও Manzil-এ জুটি বেঁধেছিলেন। কিন্তু, ১৯৮১-তে যখন পরিচালক শক্তি সামন্ত Barsaat Ki Ek Raat-এর জন্য অমিতাভ-মৌসুমী জুটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন। ছবির সঙ্গে তাঁরা চুক্তিবদ্ধও হনয কিন্তু, মৌসুমীকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় নিয়ে আসেন রাখি গুলজারকে। বিগ বি-র প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাখি। সেই প্রসঙ্গে মৌসুমী সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি ওই ছবির সঙ্গে যুক্ত কারও কাছের বন্ধু ছিলেন না। তাই ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
নয়নদীপ রক্ষিতকে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, 'পরিচালক শক্তি সামন্তের সিনেমা সিনেমা ছিল বরসাত কী এক রাত। শক্তি কাকু আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন অমিতাভের সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত সমস্যা আছে? আমি বললাম, আমি কারও সঙ্গেই খুব বেশি ক্লোজ নই যে আমার সঙ্গে সমস্যা তৈরি হবে। সবাই বলে আমি ভা, উদার, আমার মধ্যে আন্তরিকতা আছে।' সঙ্গে সঙ্গে শক্তি কাকু বলেন, সব হিরোরাই সে কথা বলেন, ' মৌসুমীকে কেন নিলেন? ওঁর সঙ্গে আমাদের টিউনিং ঠিক নেই। তখন আমি বিষয়টা বুঝলাম। মনে হয়েছিল বন্ধুত্বের থেকেও অনেক বেশি কিছু। কিন্তু, আমি তো ইন্ডাস্ট্রিতে বন্ধু বানাতে আসিনি। কাজ করতে এসেছি।'
ছবি থেকে বাদ পড়া প্রসঙ্গে মৌসুমী যোগ করেন, 'হিরোদের সমস্যা বলে শক্তি কাকু আমাকে সিনেমা থেকে বাদ দিয়ে দেন। আমি বলেছিলাম চুক্তির সময় দেওয়া অর্থ আমি ফিরিয়ে দেব। কিন্তু, উনি বলেছিলেন, লাগবে না। কারণ আমি পরের ছবিতে তোমার সঙ্গে কাজ করব। তাই আমি আনন্দ আশ্রমে ওঁর সঙ্গে কাজ করলাম। আমি বুঝেছিলাম উনি সম্পর্কটা নষ্ট করতে চাননি।' প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিট মুভি পিকু-তে অমিতাভের সৎঙ্গে একই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেম মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন 'শুটিং শুরুর দু'দিন আগে ছবি থেকে সরিয়ে দেয়', অতীতের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ভাগ মিঠুন পুত্র মিমোর