নিখোঁজ সাংসদের দেখা পেতেই তাকে দিয়ে রান্না করালেন এলাকাবাসীরা? ঠিকই শুনছেন! অভিনেত্রী এবং বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান ( Nusrat Jahan ) নিজে হাতেই রান্না করলেন মা কালীর ভোগ। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন অভিনেত্রী।
Advertisment
নুসরত এর আগেও ধর্মকে উপেক্ষা করে নানান কাজ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন মনুষ্যত্বে - মানবিকতায়। হিন্দু ধর্মের প্রতিও তার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। এবার কালীপুজো উপলক্ষে নিজ দায়িত্বেই রান্না করলেন ভোগ। পরনে শাড়ি, যেন মিশে গিয়েছেন এলাকার মানুষদের সঙ্গে। হাসিমুখে, পেল্লাই খুন্তি দিয়েই খিচুড়ি নাড়ছেন অভিনেত্রী।
বসিরহাটের একটি কালীপুজোয় আমন্ত্রিত ছিলেন নুসরত। সেখানে সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যান, নিয়ম মেনে পুজোর কাজে অংশও নিলেন। তাকে সামনে পেয়ে দিব্য খুশি এলাকার মানুষজন। এ যেন এক সম্প্রীতির বন্ধন, কোনও প্রতিকূলতার তোয়াক্কা না করেই অভিনেত্রীর এহেন কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই।
এর আগেও, জগন্নাথের রথযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন তিনি, রথের দড়ি টেনেও সমালোচনার শিকার হন। পরবর্তীতে, বিজয়া দশমী উপলক্ষে সিঁদুর খেলায় অংশ নিতেও ছিঃ ছিঃ করে ওঠেন অনেকেই। তাতেও থামানো যায়নি নুসরতকে। ধর্ম নয়, ভক্তি শ্রদ্ধা এবং ভালবাসাই আসল - বলেই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এবারও এমনই এক মিষ্টি সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তিনি। হিন্দু মন্দিরে মুসলিম সম্প্রদায়ের অবদান রয়েছে, এমন নিদর্শন কম নেই। জানা যাচ্ছে বসিরহাটের এই মন্দিরটির সঙ্গেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা জড়িয়ে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বসিরহাট চত্বরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের তরফেই সন্ধান চাই পোস্টার সাঁটানো হয়। যাতে নুসরতের ছবির সঙ্গেই লেখা হয় - নিখোঁজ। বসিরহাটের তাঁর দেখা পাওয়া যেন 'মরুভূমিতে জল' বলেই জানিয়েছিলেন এলাকাবাসীরা। যদিও এই পুজোয় তাঁর উপস্থিতিতে আপ্লুত সকলেই। অনুরাগী থেকে কাছের মানুষরা বলছেন, নুসরত আসলেই যেন দশভুজা।