Mukul Dev Escaping Death Once: ২৩ মে শুক্রবার, দিল্লিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় অভিনেতা মুকুল দেব। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টিনসেল টাউন। অভিনয় জগতে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিলেন মুকুল। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা সর্বত্রই তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। মুকুল দেবের মৃত্যুর খবরে স্তম্ভিত বিনোদুনিয়া। হিন্দি থেকে বাংলা, পঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গভীর শোকপ্রকাশ করেছে। মাত্র ৫৪ বছরে মুকুলের এই মৃত্যু যেন কেউ মেনে নিতে পারছে না। তবুও নিয়ম মেনে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। অভিনেতার শেষযাত্রায় হাজির ছিলেন পরিবারের সদস্য ও মুকুলের কাছের বন্ধু বিন্দু দারা সিং। চোখের জলে প্রত্যেকেই বিদায় জানিয়েছেন অভিনেতাকে। কিন্তু, অনেক আগেই চোখের সামনে মৃত্যুকে দেখেছিলেন মুকুল। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা এক সাক্ষাৎকারে নিজেই শেয়ার করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা।
২০২০ সালে Eastern Eye-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই হাড় হিম করা ঘটনার বিবরণ দিয়েছিলেন। মুকুল বলেছিলেন, 'যখন আমি পাইলটের ট্রেনিং নিচ্ছিলাম সেই সময়ের একটি ঘটনা আমার চিরদিন মনে থাকবে। যদিও সেটা খুব একটা সুখকর নয়। একবার ইমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে বায় বরেলি থেকে বিমান উড়িয়ে দক্ষিণ উপকূলে নিয়ে যেতে হয়েছিল। ত্রিবান্দ্রমে পৌঁছনোর আগে আবহাওয়া প্রচণ্ড খারাপ হয়ে যায়। প্রচণ্ড সমস্যায় পড়েছিলাম। তখন আমি একজন নবীন পাইলট। বুঝতে পারছিলাম না কী ভাবে বিমানকে ল্যান্ড করাব। মাঝ আকাশ থেকে ওই খারাপ পরিস্থিতিতে যেভাবে বিমান অবতরণ করিয়ে ছিলাম সেটা কোনওদিন ভুলব না। সোইদিন ওই মুহূর্তে আমি চোখের সামনে মৃত্যুকে দেখেছিলাম। কোনও দিন ভুলব না। যে ভাবে বেঁচে ফিরে এসেছিলাম তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কোনওদিন সেই মারাত্মক অভিজ্ঞতার কথা ভুলব না'।
আরও পড়ুন জয়ার থেকে ৭৫ হাজারের চেক পেয়েও অসম্পূর্ণ কাজ, অমিতাভের জন্য শুরুতেই শেষ মুকুলের কেরিয়ার!
প্রসঙ্গত, মুকুল দেবের শেষ ইনস্টা পোস্টেও যেন রয়েছে একাকীত্বের ছায়া। একটি ধীর গতির ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সাগরপাড়ে সূর্যাস্তের একটি মুহূর্ত। আর ক্যাপশনে লেখা, 'অন্ধকারের পূর্বাভাস জেনে যদি তোমার মস্তিষ্কে বিস্ফোরণ হয়, তা হলে চাঁদের অন্ধকার পৃষ্ঠে তোমার সঙ্গে দেখা হবে।' এটি 'পিঙ্ক ফ্লয়েড'-এর 'ব্রেন ড্যামেজ' গানের পংক্তি।
মুকুলের মৃত্যুর পর এই পোস্টের গুরুত্ব অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। অভিনেতার মুকুলের মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাঁর আকস্মিক মৃত্যু নিয়েওদানা বাঁধছে রহস্য সেকথা বলাই বাহুল্য। বিন্দু দারা সিং, মুগ্ধা গডসের মতো সেলেবরা মুকুলের শারীরিক অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন। বিন্দু বলেছেন, মুকুলের ওজন বৃদ্ধি পেয়েছিল। অবসাদে-একাকীত্বে অতিরিক্ত মদ্যপান করতেন। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মেয়ে সিয়া দেব-ও তাঁর সঙ্গে থাকতেন না। মুগ্ধার বিবৃতি, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে আইসিইউ-তে বর্তি ছিলেন মুকুল দেব।