Dino Morea: বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা দিনো মরিয়া। একটা সময় বিপাশা বসুর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেতা। রাজ, গুনহা-র মতো হিট ছবিও দর্শককে উপহার দিয়েছেন। এবার সেই দিনো মরিয়ার নাম জড়াল মহারাষ্ট্রের মিঠি নদীর পলি নিষ্কাশন কেলেঙ্কারিতে। ঘটনায় মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা তলব করেছে অভিনেতাকে। দিনো মরিয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে ৬৫ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। মিডিয়া রিপোর্ট মোতাবেক, বলিউড অভিনেতা দিনো মরিয়ার বিরুদ্ধে ৬৫ কোটি টাকার বেশি কেলেঙ্কারির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মুম্বইয়ের বন্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মিঠি নদীর পলি নিষ্কাশনের জন্য মোটা টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। EOW ও Free Press Journal-এর খবর অনুযায়ী, দিনো মরিয়াকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। অভিনেতা ও তাঁর ভাই স্যান্টিনো মরিয়া-কেতন কদমের মধ্যে একাধিক সন্দেহজনক টেলিফোনিক কথপকথোনের উপর ভিত্তি করেই তদন্ত এগবে।
অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখার দাবি, কেতন কদম ও জয় যোশী কোচিতে অবস্থিত ম্যাটপ্রপ টেকনিক্যাল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে কেনা যন্ত্রপাতি প্রকৃত মূল্যের তুলনায় অনেকটা বেশি দামে পৌর সংস্থাকে বিক্রি করেছে। মনে করা হচ্ছে, মুম্বই মিউনিসিপল কর্পোরেশনের স্ট্রম ওয়াটার ড্রেনস (SWD) বিভাগের কিছু অফিসার ও ম্যাটপ্রপের কর্মীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এই ঘটনা নিশ্চিত করে বলেছেন, 'আমরা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছি। সেই জন্য অনেকটা সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।' মিঠি নদী নিষ্কাশন কেলেঙ্কারিতে সম্ভাব্য যোগসূত্র ও ঘটনায় গ্রেফতার ভোদার ইন্ডিয়া লিমিটেডের কেতন কদমের সঙ্গে দিনো মরিয়ার ঘনিষ্ঠতার কারণেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন একাকীত্বে-অবসাদে অকাল প্রয়াণ মুকুলের! কেন বলেছিলেন 'মৃত্যুকে অনেক কাছ থেকে...'!
চলতি মাসের শুরুতেই মুম্বই পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যাদের মধ্যে পাঁচজন বেসরকারি ঠিকাদার ও তিনজন বৃহন্নুম্বাই পৌর কর্পোরেশন (BMC) কর্মকর্তা। অভিযোগ, মিঠি নদী নিষ্কাশন কেলেঙ্কারিতে ৬৫.৫৪ কোটি টাকারও বেশি মূল্যে পুরসভার সঙ্গে আর্থিক তছরুপ করা হয়েছে। তদন্তের আওতায় রয়েছে প্রায় ১১০০ কোটি টাকার কাজের যুক্তিও। মিঠি নদীর পলি অপসারণ এবং সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ১১০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের তদন্তে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই কেলেঙ্কারির ফলে সরকারি তহবিলে বিশাল ক্ষতি হয়েছে যেমন, তেমনই মুম্বইয়ের মতো শহরে আসন্ন বর্ষার প্রস্তুতিও বিশ বাঁও জলে সে কথা বলাইবাহুল্য।
মিঠি নদীর নিচু এলাকায় বৃষ্টির জল নিষ্কাশন অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যয়সাপেক্ষ একটি কাজ। রাতে একটানা বৃষ্টির পর সকালেও ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে। রাতভোর বৃষ্টির জেরে কার্যত থমকে গিয়েছে মায়ানগরী মুম্বই। শহরের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। সেই কারণে ব্যাহত যান চলাচল ও বিমান পরিষেবাও। কুরলা, সিওন, দাদার এবং পারেলের নিচু এলাকাগুলিতেও জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত। জলমগ্ন রাস্তা দিয়েই কোনওক্রমে যানবাহন চলাচল করছে। সেই আবহেই আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে, আগামী চার ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।