What Mumbai Police seized From Saif House: বুধবার মধ্যরাতে হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছে পতৌদি প্যালেসে। সইফিনার ফ্ল্যাটে ঢুকে হামলা চালায় এক দুষ্কৃতি। সইফের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় অভিনেতাকে ছ'বার ছুরি দিয়ে কোপ দেয় আক্রমণকারী। হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর লড়াই লড়েছেন পতৌদি নবাব। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বরাত জোরে বেঁচেছেন সইফ।
শিরদাঁড়ায় আড়াই ইঞ্চি ছুড়ির অংশ গেঁথে ছিল। দুষ্কৃতী যদি ফের ছুরিকাঘাত করত তাহলে পঙ্গু পর্যন্ত হয়ে যেতে পারতেন সইফ। বৃহস্পতিবার দিনভর চিরুনি তল্লাশির পর পুলিশের জালে ধরা পড়েছে দুষ্কৃতী। ঘটনার তদন্তের সময় পতৌদি প্যালেস থেকে কী বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?
ঐতিহাসিক একটি তলোয়ার সইফিনার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সংবাদসংস্থা IANS-এর রিপোর্ট মোতাবেক, সইফের বাসভবন থেকে যে তলোয়ারটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেটি সম্ভবত পতৌদি বংশের ঐতিহ্য। বংশানুক্রমে সেটি নবাব পরিবারের অংশ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইব্রাহিমের হাতে ব্যান্ডেজ! সইফের ছুরিকাঘাতের ঘটনার মাঝেই ভাইরাল নবাব পুত্রের ভিডিও
যদিও পুলিশ এই বিষয়টি এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি। এই সংস্থা মারফৎ আরও জানা যাচ্ছে, প্রথমে পুলিশের সাত জনের একটি দল তৈরি করা হয়েছিল। পরে তদন্তের গতি বাড়াতে ৩৫ জনের দল গঠন করা হয়। যার মধ্যে ১৫ জন মুম্বি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের সদস্য আর বাকি ১৫ জন স্থানীয় থানার।
IANS-এর থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সইফ আলি খানের আক্রমণকারী হিসেবে যাকে সন্দেহ করা হয়েছে তাকে বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশনের সামন থেকে আটক করেছে মুম্বই পুলিশ। পুলিশের নজরে আসে তার সন্দেহজনক গতিবিধি। এর পরেই আটক করে চলছে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, অনুপ্রবেশকারী পতৌদি প্যালেসে কোনও গৃহকর্মীর সঙ্গে পূর্বপরিচিত। সম্ভবত সেই কারণেই লবির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা না পড়েই সইফিনার বাড়িতে অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে। গতকাল টানা আইসিইউতে থাকার পর সকাল থেকে কী অবস্থা তাঁর?
হাসপাতাল সুত্রে খবর, সইফকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা হয়েছে। তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন। তাঁকে হাঁটানোর চেষ্টা করালে বেশ ভালভাবেই হেঁটেছেন সইফ। তাঁর প্যারামিটার খেয়াল করলে দেখা যাবে, ক্ষত সেরে উঠছে। জটিল অস্ত্রোপচার এবং শিরদাঁড়ার সমস্যার জন্য টানা এক সপ্তাহ তাঁকে বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দিয়েছে চিকিৎসকরা। এমনকি হাঁটাচলা করাও বারণ।