/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/20/zubeen-garg-2025-09-20-16-32-02.jpg)
বড় মোড় তাঁর মৃত্যু কাণ্ডে...
প্রয়াত জনপ্রিয় গায়ক, জুবিন গর্গের মৃত্যুর তদন্তে বড় মোড়। গায়কের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা ও নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালের আয়োজক শ্যামকানু মহন্তকে গ্রেপ্তারের একদিন পর, বৃহস্পতিবার আসাম পুলিশ, মামলায় খুনের অভিযোগ যুক্ত করেছে।
শর্মা ও মহন্তকে যথাক্রমে দিল্লি ও গুরগাঁও বিমানবন্দর থেকে আটক করে গুয়াহাটিতে আনা হয়। আদালত তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। সিআইডির বিশেষ ডিজিপি এম পি গুপ্তা নিশ্চিত করেছেন যে মামলায় বিএনএসের ধারা ১০৩, অর্থাৎ খুনের ধারা প্রযোজ্য করা হয়েছে।
এদিকে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ভারতের হাই কমিশনের কাছে হস্তান্তর করেছে। যা শীঘ্রই গর্গের পরিবারের হাতে দেওয়া হবে। সিঙ্গাপুর পুলিশ জানিয়েছে, তাদের তদন্তে কোনো ‘ফাউল প্লে’র প্রমাণ মেলেনি। মৃত্যুর সনদে কারণ উল্লেখ রয়েছে- 'ডুবে যাওয়া'।
১৯ সেপ্টেম্বর ৫২ বছর বয়সী গর্গ সিঙ্গাপুরে, একটি ইয়টে ঘুরতে গিয়ে সাঁতারের সময় অচেতন হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে মহন্ত ও শর্মার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়। বর্তমানে সিআইডি তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ষড়যন্ত্র, অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ড ও অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে।
জুবিন গর্গের মৃত্যুকে ঘিরে আসামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে এর সঙ্গে অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠে আয়োজক মহন্ত ও ম্যানেজার শর্মার বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় ইতিমধ্যেই একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এবং তাঁর মৃত্যুতে এবার পুজোয় অসমের অন্য চিত্রই দেখা গিয়েছে।