হাতে ফ্রি নেট। ফাঁকা সময়ে। বিপ্লবের জায়গা সোশ্যাল মিডিয়া! নেটদুনিয়া যে প্রতিবাদের মোক্ষম প্ল্যাটফর্ম, তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। তবে যো কোনও একটা ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেহেন কাদা ছোঁড়াছুড়ি আর বিষবৃক্ষ রোপন করা হয়, এমনকী ট্রোল-মিমের পাহাড় তৈরি হয়, তাতে নিঃসন্দেহে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। বাক স্বাধীনতার নামে যথেচ্ছাচার চলে! এবার সেই প্রসঙ্গেই সরব হলেন নচিকেতা চক্রবর্তী (Nachiketa Chakraborty)।
বিশেষ করে নজর থাকে তারকাদের দিকেই। পান থেকে চুন খসলেই হল! নেটদুনিয়ার নীতিপুলিশদের রোষানলের শিকার হতে হয়। সম্প্রতি রোদ্দুর রায়ের বিতর্কিত ভিডিও এপ্রসঙ্গে আরও ঘৃতাহূতির মতো কাজ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় ভিডিও পোস্ট করে বর্তমানে গ্রেপ্তার ইউটিউবার রোদ্দুর রায়। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কম জলঘোলা হয়নি। আর নেটিজেনদের এমন বাড়বাড়ন্তের মাঝেই নচিকেতার সাফ কথা, "সোশ্যাল মিডিয়া হল অশিক্ষিতদের চায়ের দোকান।"
বাঙালির চায়ের ঠেকের আড্ডায় পাড়ার ঝামেলা থেকে বিনোদুনিয়া, রাজনৈতিক ইস্যু সবই ঠাঁই পায়। চায়ে পে চর্চায় ভাষারও কোনও সীমা-পরিসীমাও থাকে না কখনও কখনও। নেটদুনিয়াতেও তার অন্যথা হয় না। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে শো করতে এসেছিলেন নচিকেতা চক্রবর্তী। অবসরে পাহাড়েও ঘুরে এলেন টুক করে। ফেরার পথেই গায়ক নেটদুনিয়ার নীতিপুলিশদের নিয়ে বিস্ফোরক।
<আরও পড়ুন: ছেলেকে দেখতেও দেয় না! বুকে কষ্ট নিয়ে স্ত্রী পিঙ্কির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে কাঞ্চন মল্লিক>
ফেরার পথে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন নচিকেতা। নেটদুনিয়ার এত বিতর্ক সমালোচনাকে কীভাবে দেখেন গায়ক? সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর সাফ উত্তর, নেটপাড়া হল অশিক্ষিতদের চায়ের দোকান। সেখানেই রোদ্দুর রায় প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন তিনি। নচিকেতার কথায়, শোয়ের জন্য ব্যস্ত থাকায় রোদ্দুর-বিতর্ক (Roddur Roy Controversy) নিয়ে তাঁর সেভাবে কিছু কানে আসেনি। এমনকী, ব্যক্তিগতভাবেও ইউটিউবারকে চেনেন না তিনি। তাই এব্যাপারে মন্তব্য না করাই, শ্রেয় বলে মনে করেন গায়ক। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার কাটাছেঁড়া নিয়ে যে তিতিবিরক্ত নচিকেতা, সেটা তাঁর বক্তব্য থেকেই সাফ বোঝা যায়।
প্রসঙ্গত, নচিকেতা নিজেও স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুব একটা সক্রিয় নন। কাজের ছবি-ভিডিও ছাড়া কিছু ঠাঁই পায় না তাঁর সোশ্যাল-ওয়ালে। অতঃপর নেটদুনিয়া নিয়ে ভাবলেশহীন মানুষের কাছে সামাজিকমাধ্যমে চলতে থাকা বিতর্ক, সমালোচনা, ট্রোল-মিম নিয়ে যে কিছুই যায় আসে না, তা বলাই বাহুল্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন