নাফিসা আলির সঙ্গে কলকাতার সম্পর্ক নিবিড়। এই শহরে বহু বছর তিনি থেকেছেন। বর্তমানে গোয়ায় নিজের মেয়ের কাছে রয়েছেন বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী। সেখানে থেকেই লকডাউন নিয়ে তাঁর নিজের কিছু বক্তব্য রেখেছেন সোশাল মিডিয়ায়। লকডাউনে নাগরিকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তাঁর মতামত ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ নাফিসা তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন। সেখানে প্রথমেই জানান যে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং গোয়ায় তাঁর মেয়ের পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। এর পরেই তিনি লেখেন, ''আমি আশা করব যাঁরা বাড়ির জন্য খাবার নিতে বাইরে বেরোচ্ছেন, তাঁদের গায়ে যেন পুলিশ হাত না তোলে।''
আরও পড়ুন: ফিরছে ঋতাভরী-রাজদীপের ‘ওগো বধূ সুন্দরী’, জানালেন রাজদীপ
লকডাউনের সময়ে নাগরিকদের বাইরে বেরনো বারণ ঠিকই কিন্তু কিছু কিছু খাবার কিনতে বাজার-দোকানে বেরোতেই হচ্ছে বহু মানুষকে। চাল-ডাল, শুকনো খাবার মজুত থাকলেও মাছ-মাংস-শাকসবজি তো আর খুব বেশিদিনের জন্য মজুত করা যায় না। তেমনই যে সমস্ত পরিবারে শিশুরা রয়েছে, তাদের প্রতিদিন দুধ প্রয়োজন। লকডাউনের প্রথম দিকে, বাড়ির শিশুদের জন্য দুধ কিনতে বেরিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এরাজ্যের এক নাগরিক।
নাফিসা আলির ইনস্টাগ্রাম পোস্ট।
এই ধরনের ঘটনা অন্যান্য রাজ্যেও ঘটেছে। তাই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আবেদন জানিয়েছেন যে সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারের জিনিসপত্র যাঁরা বিক্রি করেন, তাঁদের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায়, প্রত্যেক নাগরিকের বাড়ির দোরগোড়ায় যেতে দেওয়া হোক। এতে মানুষের মনে খাদ্যসঙ্কটের আশঙ্কাও কমবে। এমনটা হলে মানুষ দোকানে অযথা ভিড়ও করবেন না, পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটবে না।
তিনি তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথাও লিখেছেন ইনস্টাগ্রাম পোস্টটিতে-- ''এই লকডাউনের সময় নিজেকে একা ভাবলে কোনওমতেই চলবে না। আমার এক বন্ধু দুদিন আগেই আমার বাড়িতে অনেকটা সবজি দিয়ে গিয়েছে। আমার আশেপাশে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সকলের সঙ্গেই আমি ভাগ করে নিয়েছি। সেই বন্ধুকে অসংখ্য ধন্যবাদ।'' এই কঠিন সময়ে নাগরিকরা যাতে প্রতিটি অঞ্চলে, প্রতিটি পাড়ায় ঠিক এমনকরেই খাবারের পুল তৈরি করেন, পরস্পরকে সহযোগিতা করেন, সেই আবেদনই প্রচ্ছন্ন রয়েছে নাফিসার এই সোশাল মিডিয়া পোস্টে।