Shyam Benegal Death: ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৩০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন স্বনামধন্য পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। মেয়ে পিয়া বেনেগাল মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। পদ্মশ্রী প্রাপ্ত কিংবদন্তী পরিচালক শ্যাম বেনেগালের জীবনাবসানের খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে।
বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। এ ছাড়াও ছিল কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা। তবে ৯০ তম জন্মদিনও ধুমধাম করে পালন করেছিলেন তিনি। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ, অভিনেতা কুলভূষণ খরবন্দা, দিব্যা দত্ত, শাবানা আজমি, শশী কপূরের ছেলে কুণাল কাপুর, অতুল তিওয়ারি ও রজিত কপূর।
দীর্ঘ কয়েক দশকের পরিচালকের কেরিয়ারে শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ, স্মিতা পাটিল, কুলভূষণ খারবান্দা, গিরিশ কারনাদ, অমরিশ পুরী-র মতো বলিউড স্টারদের সঙ্গে কাজ করেছেন। ১৯৭৫-এ মূল ধারার হিন্দি ছবি Nishant-এ নাসিরুদ্দিনকে কাস্ট করিয়েছিলেন পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, জাতীয় পুরস্কারজয়ী প্রয়াত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। অতীতে এক সাক্ষাৎকারে প্রয়াত কিংবদন্তী পরিচালক শ্যাম বেনেগালকে নিয়ে কথা বলেছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ।
WildFilmsIndia-কে বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ বলেন, 'আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা হল প্রথমবার আমাকে অভিনয়ে সুযোগ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে প্রথম পারিশ্রমিকের চেক'। অভিনেতার সংযোজন, শ্যামের চরিত্রের উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তিনি প্রতিটি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য শিক্ষার দরজা খুলে দিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের মতো করে সিনেমা তৈরির স্বাধীনতা পেয়েছিলেন'।
আরও পড়ুন: 'কোনওদিন অভিনয় ছাড়বে না', পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত পরিচালক শ্যাম বেনেগালের প্রয়াণে স্মৃতিচারণায় জীতু
আরও বলেন, 'নিজের মতো করে তিনি পরিচালকদের ভাবতে শিখিয়েছিলেন। সাম্প্রতিককালেও নিজস্ব ভাবনাতেই ছবি তৈরি করেছেন। কখনই জনপ্রিয়তার ট্রেন্ডে গা ভাসাননি। ওঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য। শ্যামের ছবির অংশ হতে পেরে গর্বিত'।
নাসিরুদ্দিন আরও যোগ করেন, 'মাল্টি স্টারকাস্টভিত্তিক ছবি তৈরির ভাবনা বদলেছেন তিনি। হাইপ্রোফাইল তারকা ছাড়াও যে ছবি হিট হয় সেটি প্রমাণ করে দিয়েছেন। দর্শকের মনে নিজের স্থায়ী আসন তৈরি করতে পেয়েছিলেন।' ২০২৩-এ মুক্তি পেয়েছে তাঁর শেষ ছবি 'মুজিব: দ্য মেকিং অফ এ নেশন'। অসুস্থায় জর্জরিত থাকলেও কর্মজগৎ থেকে কিন্তু, মোটেই সরে আসেননি। ডায়ালিসিসের জন্য তাঁকে হাসপাতালেও যেতে হত।