মুম্বইয়ের ভারসোভায় ইয়ারি রোড বরাবর চলতে থাকলেই চোখে পড়বে এক বিরাট প্রাসাদোপম বাড়ি। নেমপ্লেটে লেখা ‘নবাব’। প্রাসাদপ্রমাণ যে বিলাসবহুল বাংলোর মালিক নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। সদ্য মুম্বইতে নিজের এই বাংলোতে সংসার সাজিয়েছেন বলিউড অভিনেতা। ধবধবে দুধ সাদা রং। পুরোটাই শ্বেতপাথরে নকশা কাটা। বছর তিনেক সময় লেগেছে প্রাসাদোপম এই বাংলো বাড়ি তৈরিতে। আর নওয়াজ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গোটা বিষয়টার তদারকি করেছিলেন।
তিন তলা বাংলোয় সাত-সাতটা বড় বড় ঘর। দুটো বিশালাকার ডাইনিং রুম। নিচের তলার সামনে চাদরের মতো বিছানো সবুজ ঘাস। যে বাগানে নওয়াজউদ্দিন নিজে হাতে ফুলগাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছেন। কারণ, অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর বাগান চর্চার শখও রয়েছে। একেবারে তাঁদের উত্তরপ্রদেশের আদি বাড়ির ধাঁচে তৈরি হয়েছে এই বাংলো। সাধ করে তাই বাবার স্মৃতিতে সেই প্যালেসের নাম রেখেছেন‘নবাব’। আজ যজিও বলিউডের প্রথমসারির তারকদের মতো তাঁর নিজস্ব বাংলো রয়েছে, তবে নওয়াজ জানিয়েছেন তিনি কখনও ভাবতেই পারেননি যে, নিজে কখনও এত বড় প্রাসাদোপম বাড়িতে থাকতে পারবেন। কারণ? মুম্বইতে তাঁর শুরুর দিনগুলো তো এমনটা ছিল না।
<আরও পড়ুন: জীবনে কখনও প্রতারিত হয়েছেন? ‘গেহেরাইয়াঁ’ ছবির প্রসঙ্গ টেনে জবাব দিলেন দীপিকা>
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি জানিয়েছেন যে, এই বিরাট বাংলো তাঁর কঠোর পরিশ্রমের ফল। একটা সময় ছিল যখন তিনি মুম্বইতে প্রথম এসেছিলেন, তখন চার জনের সঙ্গে একটা ছোট্ট ঘর শেয়ার করতে হত। সেই ঘর এতটাই ছোট ছিল যে, একজন যদি দরজা খুলত অন্য কারও হাতে-পায়ে লেগে যেত। কিন্তু আজকে যে শৌচাগার তিনি ব্যবহার করেন নিজের বাংলোতে, তাঁর সাইজও ওই ঘরের থেকে বড়।
ওই সাক্ষাৎকারেই 'মান্টো' অভিনেতা জানান, নিজের মন-প্রাণ সব উজার করে দিয়েছেন তিনি এই বাংলোতে। তবে নতুন বাংলোয় পাকাপাকিভাবে থাকা শুরু করলেও সাজানো-গোছানোর কাজ এখনও শেষ হয়নি তাঁর। নওয়াজউদ্দিন জানান, ড্রয়িং রুমের একটা গোটা দেওয়ালজুড়ে সিনেজগতের সমস্ত কিংবদন্তী তারকাদের সাদা-কালো পোস্টার থাকবে। "যাতে অতিথিরা বাড়িতে এলেই আন্দাজ করতে পারেন যে, এটা একটা শিল্পীর বাড়ি", বলছিলেন অভিনেতা।
পাশাপাশি রসিকতা করে নওয়াজ এও বলেন যে, "আমি আর কতটাই বা থাকব এই বাংলোতে, আমার জীবনের অর্ধেকটা সময় তো সেটের ভ্যানিটি ভ্যানেই কেটে গেল।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন