নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীকে বলিউড দর্শক চিনেছেন মূলত ২০১২ সালে, 'কাহানি', 'গ্য়াংস অফ ওয়াসিপুর' ও পরে 'তলাশ' ছবিতে। 'কাহানি'-ই অভিনেতার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। 'তলাশ'-এর চরিত্রটিতে নওয়াজউদ্দিন অনবদ্য। বরং 'কাহানি'-র তুলনায় অনেক বেশি শেড ছিল 'তলাশ'-এর তেমুর-এ। কিন্তু হলফ করে বলা যায়, যদি তার আগে 'কাহানি' মুক্তি না পেত, অনেক দর্শকই তেমুর-কে সেভাবে মনে রাখতেন না। ঠিক যেমনটা হয়েছে 'কাহানি'-র আগে বহু বলিউড ছবির ক্ষেত্রে, যেখানে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী কখনও জুনিয়র আর্টিস্ট এমনকী কখনও এক্সট্রা হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'আজা নাচলে' ছবিও সেই তালিকায় পড়ছে।
ছোটপর্দা ও বড়পর্দার যে কোনও ইউনিটে একটি কথা খুবই প্রচলিত-- আর্টিস্ট টকি না নন-টকি অর্থাৎ অভিনেতা বা অভিনেত্রীর সংলাপ থাকবে নাকি থাকবে না। 'আজা নাচলে'-তে ভাগ্য়ক্রমে চরিত্রটির সংলাপ ছিল এবং খুবই ছোট চরিত্র হলেও সিনেমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ওই চরিত্রের কিছু ইনপুট ছিল। কিন্তু তখনও অনেকটা পথচলা বাকি নওয়াজের। তার পরেও আরও পাঁচ বছর লেগেছিল 'কাহানি' অথবা 'গ্য়াংস অফ ওয়াসিপুর'-এ পৌঁছতে।
আরও পড়ুন: রহমানের ছবি দেখতে পাবেন না ভারতীয় দর্শক
'আজা নাচলে' ছবিতে রণবীর শোরে-র সাকরেদ বা স্য়াঙাতের চরিত্রে অভিনয় করেন নওয়াজ। যদিও ছবির কোনও নায়ক নেই, মাধুরী একাই নায়িকা, কিন্তু রণবীরের চরিত্রটি ছিল মাধুরীর পাণিপ্রার্থী। বারো বছর পরে, ঘটনাচক্রে রণবীর কাজ করছেন এমন একটি ওয়েবসিরিজের দ্বিতীয় সিজনে, যে সিরিজের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আসলে নওয়াজ-অভিনীত গায়তোন্ডে-র গল্প-- 'সেক্রেড গেমস'।
বলিউডের যত সাকসেস স্টোরি রয়েছে তার মধ্যে নওয়াজের গল্পটি নিঃসন্দেহে চিরস্মরণীয়। আজকের দর্শক যখন 'মুন্নাভাই এমবিবিএস', 'নিউ ইয়র্ক' অথবা 'আজা নাচলে' দেখতে বসে নওয়াজ-কে আবিষ্কার করেন, উচ্ছ্বসিত হন, তখন প্রত্য়েকবার জিতে যান নওয়াজ। জিতে যায় তাঁর অসামান্য ধৈর্য এবং অধ্য়বসায়। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও ভাল চরিত্র না পাওয়ার যন্ত্রণা ভাগ্যিস দিনের পর দিন মুখ বুজে সহ্য় করে গিয়েছেন নওয়াজ।
বলিউড, টেলিপাড়া ও টলিপাড়ার আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন