বলিউডের ত্রাস সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে নয়া তথ্য ফাঁস মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর
বলিউডের ত্রাস সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede) কিনা নিজেই এবার বিপাকে পড়লেন! যে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB) আধিকারিকের নাম শুনেই এতদিন কাঁপন ধরত মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের বুকে, এবার সেই গোয়েন্দা আধিকারিক নিজেই জড়ালেন আইনি বিপাকে। কর ফাঁকি থেকে হাতেনাতে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের অভিযোগে এযাবৎকাল হাজারেরও বেশি তারকাদের রাতের ঘুম উড়িয়েছেন সমীর। তবে এবার শাহরুখ খান-পুত্র আরিয়ান মাদক-মামলার (Aryan Khan Drug Case) তদন্ত করতে গিয়ে সেই এনসিবি অফিসারের বিরুদ্ধেই উঠল মারাত্মক অভিযোগ। প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ার এক সাক্ষী প্রভাকর সায়েল (Prabhakar Sail) দাবি করেছেন, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো তাঁকে দিয়ে দিয়ে ১০টি সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তাঁর দাবি, আরিয়ান খানকে ধরতে ৮কোটি টাকা ঘুষও নিয়েছেন এনসিবি অফিসার।
Advertisment
সমীর ওয়াংখেড়ের ওপর এই অভিযোগ আসায় বেজায় বিপাকে পড়ে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো দপ্তরও। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিল এনসিবি। যে তদন্ত করবেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর উত্তরাঞ্চলের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে তিনি জানিয়েছেন, "আমরা সমীরের বিরুদ্ধে সবিস্তার রিপোর্ট পেয়েছি। এবং পেশার খাতিরে যে কোনওরকম অভিযোগের বিরুদ্ধেই আমরা তদন্ত করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি এই তদন্ত যে একেবারে স্বচ্ছভাবে হবে, সেই প্রতিশ্রুতিও তিনি দিয়েছেন।" অতঃপর বর্তমানে সমীর ওয়াংখেড়ে নিজেই এনসিবির কড়া নজরে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই বিষয়ে একটি মিটিংয়ের জন্য দিল্লিতে যাচ্ছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। শুধু তাই নয়, তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর আশঙ্কা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন এই এনসিবি কর্তা। সমীর কি সত্যিই ঘুষ নিয়েছেন? সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
Advertisment
সায়েলের দাবি, তিনি স্বঘোষিত প্রাইভেট ডিটেকটিভ কেপি গোসাভির দেহরক্ষী। এই গোসাভিই হলেন সেই ব্যক্তি যিনি এনসিবি অফিসে আরিয়ান খানের সঙ্গে সেলফি পোস্ট করেছিলেন। তারপর থেকেই বেপাত্তা গোসাভি। তাঁকে খুঁজছে মুম্বই ও পুণে পুলিশ। এনসিবি-র জোনাল হেড সমীর ওয়াংখেড়ে, যিনি কি না সেদিন ছদ্মবেশে প্রমোদতরীতে আরিয়ানদের ধরেছিলেন, তাঁকে ৮ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন গোসাভি। যেহেতু গোসাভি নিরুদ্দেশ, তাই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সায়েল। পাঁচ পাতার হলফনামায় সায়েল বলেছেন, ২ অক্টোবর সকালে গোসাভি তাঁকে এনসিবি অফিসে যেতে বলেন। সেই দিন সন্ধেয় কর্ডেলিয়া ক্রুজে অভিযান চালায় এনসিবি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন