"কন্যাদান নয়! কন্যামান বলতে শিখুন…." সম্প্রতি এক নামী পোশাকের ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে এমন বার্তাই দিতে শোনা গিয়েছে আলিয়া ভাটকে (Alia Bhatt)। আসলে এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কাছে এক বিশেষ বার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সমাজের একাংশের কাছে সেটা প্রশংসিত হলেও সিংহভাগ নেটজনতার রোষের মুখে পড়লেন আলিয়া ভাট। 'হিন্দুবিরোধী'র তকমা সাঁটা হল অভিনেত্রীর উপর।
Advertisment
আসলে বেদ অনুযায়ী হিন্দুধর্মে একাদিক রীতিতে বিয়ের কথা বলা হয়েছে। আর বৈবহিক রীতি অনুযায়ী সমাজে কন্যা সম্প্রদানও যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। কিন্তু নারীরা কি সত্যিই পণ্যসামগ্রী? সেই প্রশ্ন-তর্ক নিয়ে অবশ্য বহুকাল ধরেই সমাজ তথা সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল। আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সেই বস্তাপচা নিয়মকেই প্রশ্ন ছুঁড়েছেন আলিয়া, তাঁর নয়া বিজ্ঞাপনী প্রচারের মাধ্যমে। অমনি তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠছেন নেটজনতার একাংশ। অভিনেত্রীর ধর্ম নিয়েও তোপ দাগতে পিছপা হননি তাঁরা।
যে বিজ্ঞাপন নিয়ে এত শোরগোল, সেখানে অভিনেত্রীর সংলাপ ছিল- “সবাই বলে মেয়েরা পরের ধন, কিন্তু সে না কোনও ধন কিংবা না অন্য কারও! আসলে কন্যা কোনও দানের বস্তু নয়। তাই কন্যাদান নয়, বলতে শিখুন কন্যামান!”
ব্যস! অমনি হিন্দুধর্মের চিরাচরিত রীতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলায় অভিনেত্রীর উদ্দেশে কটাক্ষবাণ ধেয়ে আসতে থাকে। তাঁদের দাবি, হিন্দু ধর্মকে অসম্মান করেছেন আলিয়া ভাট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন