Saayoni Ghosh: বরাবরই মমতার পছন্দের তিনি। ভোটের মুখে তাঁকে নিজের মতো স্ট্রিট ফাইটার তকমা দিয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। সেই সায়নী ঘোষ যে অন্য ভোটপাখিদের মতো উড়ে যাবেন না তা জানাই ছিল। নির্বাচনে ব্যাপক লড়াই করে হারেন তিনি। কিন্তু 'হার কে জিতনে বালো কো বাজিগর কেহতে হ্যায়!' সেই কথাই অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ হল শনিবার। দলের যুব সভানেত্রী পদে অভিষেক হল সায়নীর। আর পদ পেয়েই আনন্দে উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী 'টার্নড' নেত্রী।
এত বড় গুরুদায়িত্ব পেয়ে কেমন লাগছে, তার উত্তরে সংবাদমাধ্যমকে সায়নী জানান, "অনেক বড় দায়িত্ব পেয়ে একসঙ্গে খুব ভাল এবং গর্বিত লাগছে। দলনেত্রী আমার উপর আস্থা রেখেছেন তাতে আমি খুব খুশি ও গর্বিত। আরও ভাল করে কাজ করব। যুবসমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুতোয় পা গলাতে পেরে স্বভাবতই খুব ভাল লাগছে।"
আরও পড়ুন ভোটে হারলেও তৃণমূলে বড় পদ পেলেন ‘সায়ন্তিকা’, গুরুদায়িত্বে বিধায়ক ‘রাজ চক্রবর্তী’
এবারের নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন সায়নী। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কাছে হেরে যান সায়নী। কিন্তু লোকসভা ভোটের নিরিখে তুলনায় পিছিয়ে থাকা আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে ভাল লড়াই দিয়েছিলেন সায়নী। তাঁর এই লড়াই নজর কাড়ে সর্বভারতীয় স্তরে। হেরে গেলেও আসানসোলে সমাজসেবার কাজে যুক্ত সায়নী। ভোটপাখিদের মতো নয়, বরং আসানসোলের নিজের মেয়ের মতো বারবার ছুটে যাচ্ছেন মানুষের সেবা করতে।
আরও পড়ুন যুব তৃণমূলের নয়া সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, সরছেন অভিষেক
তখনই মনে করা হচ্ছিল, দলে কোনও পদ পেতে পারেন সায়নী। সেই জল্পনা সত্যি করে এবার যুব তৃণমূলের নয়া সভানেত্রী হলেন সায়নী ঘোষ। এ রাজ্যে শাসকদলের যে ধরনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার সামনে উঠে আসে তার সিংহভাগ হল মাদার বনাম যুবর সংঘাত। সেটাকে কীভাবে দূর করবেন তার ছকও কষে ফেলেছেন সায়নী। তিনি বলেন, "আমি এখন এসে গিয়েছি, আর মাদার আর যুবর মধ্যে কোনও সংঘাত-মনোমালিন্য থাকবে না। আমি ভোটের সময় দুই ধরনের নেতার সঙ্গেই কাজ করেছি, ঘুরেছি। সবাইকে নিয়ে চলতে ভালবাসি, আগামিদিনেও চলব। দলনেত্রী কোনও অভিযোগ পাবেন না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন