টেলি ও টলিপাড়ার বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অনেক সময়েই সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। সহ-অভিনেতা-অভিনেত্রীরা, পর্দার ভাইবোনেরা কখনও হয়ে ওঠেন বাস্তবেও ভাইবোন। আবার কাজের সূত্রে পরিচয় হওয়া নায়িকা হয়ে ওঠেন আদরের দিদি। ঠিক সেভাবেই বাংলা ছবির নায়িকা এখন ডিজাইনার-অন্ত্রপ্রনর অভিষেক রায়ের বড়দিদি। আবার ত্রিনয়নী-অভিনেতা নীল চট্টোপাধ্যায়ের স্নেহের বোন হলেন অভিনেত্রী ও ডান্সার আত্রেয়ী ভট্টাচার্য, যাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল একটি শুটিংয়ে। ভাইফোঁটা ২০১৯-এর সকালে একবার দেখে নেওয়া যাক টেলি ও টলিপাড়ার এই মিষ্টি সম্পর্কগুলি--
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক রায়
কাজের সূত্রেই দুজনের আলাপ। ডিজাইনার অভিষেক রায়, যিনি আবার চায়ওয়ালা কাফে চেন-এরও অন্যতম কর্ণধার, বাংলা ছবির পোশাক পরিকল্পনা করছেন বহুদিন ধরেই। সেভাবেই আলাপ সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কিন্তু সম্পর্কটা ঠিক পেশাদার যোগাযোগের আওতায় আটকে থাকেনি। খুব কম সময়ের মধ্যেই অভিষেক রায়কে নিজের ভায়ের মতোই স্নেহ করতে শুরু করেন নায়িকা। তাই বিগত চার বছর ধরেই ভাইফোঁটা তিথিতে সায়ন্তিকার বাড়িতে যান অভিষেক। দিদির হাতের ফোঁটা, থালাভরা সুখাদ্য এবং যত্নআত্তি সবই মেলে।
আরও পড়ুন: টেলিভিশন এখনই নয়, ছবিই করবেন, মধুমিতা জানালেন তাঁর পরিকল্পনা
সৈরিতী বন্দ্যোপাধ্যায় ও সায়ক চক্রবর্তী
বাংলা টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী একসঙ্গে কাজ করেছিলেন নাগলীলা ধারাবাহিকে। তার পর থেকেই সৈরিতী হয়ে উঠেছেন সায়কের দিদি। একসঙ্গে দুজনে আরও বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। রাখিতে দুজনের সব সময় দেখা না হলেও ভাইফোঁটার দিন সৈরিতীর বাড়ি যাওয়াটা মিস করেন না সায়ক।
নীল চট্টোপাধ্যায় ও আত্রেয়ী ভট্টাচার্য
মীরা ধারাবাহিকে কাজ করতে গিয়ে দুজনের আলাপ। ঘটনাচক্রে দুজনেই সিঙ্গল চাইল্ড। তাই অল্পদিনের মধ্যেই আত্রেয়ী খুঁজে পেলেন তাঁর দাদাকে আর নীল খুঁজে পেলেন তাঁর আদরের বোনকে। তবে ভাইফোঁটা নয়, দুজনের এই ভাইবোনের সম্পর্কের সূত্রপাতটা হয়েছিল রাখিতে। নীল একদিন মেকআপ রুমে বলেছিলেন যে আমাকে অনেকেই ফোঁটা দেয় কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ রাখি পরায়নি। ব্যস তার পরের দিনই রাখি পরিয়ে দেন আত্রেয়ী আর সেই থেকে সম্পর্কের সূত্রপাত।
আরও পড়ুন: বিয়ের পরে অভিনেত্রী হওয়া কঠিন, আমি নিজেকে লাকি মনে করি: সোনা
শুভ্রজ্যোতি পালচৌধুরী ও সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা
সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার সঙ্গে অন্ত্রপ্রনর শুভ্রজ্যোতি পালের আলাপ কাজের সূত্রে ঠিক নয়। শুভ্রজ্যোতি তাঁর ফিটনেস চেইন পরিচালনার পাশাপাশি বাংলা ছবির প্রযোজনার সঙ্গেও যুক্ত। কিন্তু এই দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার পিছনে কাজের কোনও ভূমিকা নেই। তবে যতই বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে, দুজন দুজনের উপর ভাইবোনের মতোই নির্ভর করতে শুরু করেন। তাই বছর দুয়েক আগে সায়ন্তনী ঠিক করেন যে শুভ্রজ্যোতিকে ফোঁটা দেবেন ভাইফোঁটা তিথিতে। সেই থেকেই আরও মজবুত হয়েছে এই ভাইবোনের সম্পর্ক।
জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঊষসী রায়
একজনের দুদশক কেটে গিয়েছে বাংলা ছবি ও টেলিজগতে ও আর একজন বছর কয়েক হল এই জগতে এসেছেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছেন। জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এমনিতেই বেশ স্নেহশীল মানুষ। তাই বকুলকথা-নায়িকা ঊষসী রায় তাঁর মধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন তাঁর টেলিজগতের প্রিয় দাদাকে। জয়জিৎকে এই বছরই রাখি পরিয়েছেন ঊষসী। শোনা যাচ্ছে ভাইফোঁটারও পরিকল্পনা রয়েছে।